অপরাধ দুনিয়ায় ‘হানি ট্র্র্যাপ’ নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু সেই অপরাধের ধরন কি বদলে যাচ্ছে? সাম্প্রতিক এই ঘটনা বারবার সেই জল্পনা উস্কে দিচ্ছে।
কী ভাবে পাতা হতো প্রতারণার ফাঁদ?
সূত্রের খবর, ডেটিং অ্যাপে সুন্দরী তরুণীর ছবি দিয়ে তৈরি করা হতো প্রোফাইল। অনেকেই সেখানে তাঁকে ফলো করতে শুরু করলেই তাঁদের ফাঁসানো হতো প্রতারণার জালে।
গত ৩ জানুয়ারি ফাইয়াজ পারভেজ আলম নামে এক ব্যক্তি রাজারহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, একটি ডেটিং অ্যাপে তাঁর এক তরুণীর সঙ্গে পরিচয় হয়। আদান প্রদান করা হয় ফোন নম্বরও। এরপর ওই তরুণী তাঁকে রাজারহাট থানা এলাকায় রাইগাছিতে দেখা করার জন্য ডেকেছিলেন। কিন্তু পরে তরুণী তাঁর সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকার করে। শুধু তাই নয়,গোপন ছবি ও কথোপকথন ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ওই তরুণী ব্ল্যাকমেল করাও শুরু করেন পারভেজকে। তিনি ব্ল্যাকমেলকারী ওই তরুণীকে ২৮ হাজার টাকা দিয়েছিলেন বলে পারভেজের অভিযোগ।
ঘটনার তদন্তে নেমে রাইগাছি থেকে বছর ২২-এর ওয়াসিম আলিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, তিনিই ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে বন্ধুত্ব পাতাতেন পুরুষদের সঙ্গে। কোনও তরুণীর অস্বিত্বই ছিল না। এই জন্য এক সুন্দরীর ছবি ব্যবহার করা হতো। এরপর নিজেই গলার স্বর বদলে নারী সেজে ওই পুরুষদের সঙ্গে কথা বলতেন এবং তাঁদের ব্ল্যাকমেল করতেন।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আরও অনেককে প্রতারিত করেছে এই যুবক। তাঁদের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।