স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রায় দেড় কিমি রাস্তার জন্য খরচ হয়েছে ২৬ লক্ষ টাকা। অভিযোগ, ঠিকাদাররা কাটমানির কোপে পড়ে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা তৈরি করেছেন। শাসকদলের লোকজনকে নামী সংস্থার মোটরবাইক দিয়ে রাস্তা তৈরির টেন্ডার নিয়েছে ঠিকাদার সংস্থা। তার পর রয়েছে কাটমানি। ফলে রাস্তা তৈরির মান খারাপ হয়েছে।
এলাকাবাসীরা এই নিয়ে ক্ষোভ দেখান। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, আবার নতুন করে রাস্তা তৈরি করা হোক। বাসিন্দাদের সঙ্গে কিছু তৃণমূলের নেতা–কর্মীরাও কাটমানি ও মোটরবাইকের কথা মেনে নিয়েছেন।
গ্রামবাসী শীতল জানা বলেন, ‘বড় ইঞ্জিনিয়ার নিয়ে এসে এই রাস্তার মান পরীক্ষা করা হোক। কাটমানির কোপে পড়ে আমাদের রাস্তাটা খারাপ হলো। কাটমানি খেয়ে এরা গ্রামীণ উন্নয়ন স্তব্ধ করে দিচ্ছে।’ সিপিএম নেতা ফারুক আহমেদ লস্কর, কংগ্রেস নেতা হবিবুর রহমান একই অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, ‘শাসকদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাদের কাটমানি দিতে দিতেই ঠিকাদার সংস্থা শেষ হয়ে যাচ্ছে।’
পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক তথা আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, ‘রাস্তা হচ্ছে আর তৃণমূলের বড়, মেজ, সেজ, ছোট নেতারা কাটমানি নেবেন না? তা হয় না।’
পুরশুড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি যশোবন্ত ঘোষ বলেন, ‘অভিযোগ উঠেছে যখন তদন্ত করে দেখা হবে।’ হুগলির জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধাড়া বলেন, ‘আমার কাছে এ বিষয়ে কোনও অভিযোগ আসেনি। এমন হলে আমি ব্যবস্থা নেব।’