আজকাল ওয়েবডেস্ক: গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে সোমবার রওনা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সোমবার দুপুর ১টা ১০ মিনিট নাগাদ হাওড়ার ডুমুরজলা হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে পৌঁছন তিনি। হেলিকপ্টারে আধ ঘণ্টার মধ্যেই দক্ষিণ ২৪ পরগণার সাগর হেলিপ্যাড গ্রাউন্ডে পৌঁছে যাবেন তিনি। সেখান থেকেই একাধিক কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।
আজ প্রথমে পুজো দেবেন কপিলমুনির মন্দিরে। তারপর মন্দিরের প্রধান পুরোহিত জ্ঞানদাস মোহন্তের সঙ্গেও তাঁর দেখা করার কথা রয়েছে। এরপর একাধিক প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি। ওখান থেকে যাবেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্যালয়ে। জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের ভবন 'ঊর্মিমুখর'-এ থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী।
আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। ইতিমধ্যে বিভিন্ন দপ্তরের মন্ত্রী ও বিভাগীয় আধিকারিকরা পৌঁছে গিয়েছেন গঙ্গাসাগরে। মেলা নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর। জানা গেছে, সাগরে পৌঁছনোর মূল প্রবেশদ্বার কাকদ্বীপের লট-৮, কচুবেড়িয়া বাস স্ট্যান্ড, বেণুবন লঞ্চ ঘাট, গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণ ও মুড়িগঙ্গা নদীতে ড্রেজ়িংয়ের কাজ কেমন চলছে, তা পরিদর্শন করেছেন বিভাগীয় মন্ত্রীরা। সমস্ত রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেবেন তাঁরা।
সাগরে হেলিপ্যাড ময়দানের পাশে পুণ্যার্থীদের জন্য 'পথশ্রী' প্রকল্পে কিছু রাস্তা, কিছু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, ১০০ শয্যার হস্টেল, পাথরপ্রতিমায় জেটি-সহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে বহুবার বেশকিছু অভিযোগ তোলেন মমতা। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য বঞ্চনার অভিযোগ। কুম্ভমেলার সঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলার তুলনা টেনে বারেবারে বঞ্চনার অভিযোগ এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, কুম্ভমেলার মতো একাধিক মেলা কেন্দ্রীয় সাহায্য পায়। অথচ ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম মেলাকে অনুদান দেয় না কেন্দ্র। যা আরও এক বঞ্চনা বলেই তাঁর অভিমত।