• ‘সংবর্ধনার জোয়ারে গা ভাসানো নয়’, সন্তোষ জয়ের নায়ককে পরামর্শ রাজ্যের মন্ত্রীর...
    আজকাল | ০৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: সন্তোষ ট্রফি জয়ী ফুটবলার রবি হাঁসদাকে সংবর্ধনা জানাল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ। সেখানে বাংলার নায়ককে বিশেষ পরামর্শ দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। জানালেন, সংবর্ধনার জোয়ারে যেন গা না ভাসান তিনি। তবে রবির থেকে অনেক বড় প্রত্যাশাও রয়েছে রাজ্যের মন্ত্রীর। তিনি জানালেন, শুধু ভারতীয় দলের হয়ে খেলা নয়, রবিকে জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চান তিনি। সোমবার সকালে বর্ধমানের টাউন হলে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। বাড়ি ফেরার পর থেকে আবেগে, ভালবাসায় আর সংবর্ধনায় আপ্লুত হয়েছেন রবি হাঁসদা। প্রসঙ্গত, দীর্ঘ ছ’বছর পর কেরালাকে হারিয়ে সন্তোষ ট্রফি জিতেছে বাংলা।

     

    ফাইনালে বাংলার এই জয় এসেছে রবি হাঁসদার করা গোল থেকেই। পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানার মুশারু গ্রামের আদিবাসীপাড়ায় বাড়ি রবির। বাবা সুলতান হাঁসদার স্বপ্ন ছিল ছেলে একদিন অনেক বড় ফুটবলার হয়ে সবার মুখ উজ্জ্বল করবে। কিন্তু ছেলের সাফল্য দেখে যাওয়া হল না সুলতান হাঁসদার। গত বছর জুন মাসে হৃদরোগে মারা গিয়েছেন তিনি। রবিবার বাড়ি ফেরার পর সাঁওতালি রীতি মেনে বরণ করা হয় রবিকে। ছিল ধামসা-মাদল, ছিল আদিবাসী রমণীদের নৃত্য। ৬-৭ বছর বয়স থেকেই ফুটবল খেলা শুরু করেছিলেন রবি। ২০১৭ সালে অনুর্ধ্ব ১৯ বাংলা দলের ট্রায়ালে সুযোগ পেয়ে নির্বাচিত হন রবি। সেবারই অধিনায়কত্বের জন্য নির্বাচিত হন। ২০২২ সালে ন্যাশানাল গেমসে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলা।

     

    সেই প্রতিযোগিতায় পাঁচ গোল করেছিলেন রবি। আর এবারের সন্তোষ ট্রফিতে সর্বোচ্চ গোলদাতাও তিনিই। টাউন হলের সংবর্ধনা সভায় রবিকে মন্ত্রী  স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘এখন সবাই সংবর্ধনা দেবে। কিন্তু খেলাটা ঠিক ভাবে চালিয়ে যেতে হবে, এই জোয়ারে গা ভাসালে হবে না’। রবিবার টাউনহলে রবির সঙ্গে এসেছিলেন রবির স্ত্রী ভারতী হাঁসদা ও দেড় বছরের মেয়ে রিমিও। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলাশাসক আয়েশা রাণী এ, পুলিশ সুপার সায়ক দাস, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস, জেলাপরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার, রবি হাঁসদার কোচ মুদ্রাজ সাডেন সহ পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা।
  • Link to this news (আজকাল)