• অযথা আতঙ্ক নয়! দু’মাস আগে বাংলাতেই সুস্থ HMPV আক্রান্ত শিশু
    প্রতিদিন | ০৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • রমেন দাস: মাত্র দু’মাস আগের কথা, শহর কলকাতাতেই সুস্থ হয়ে ওঠে HMPV অর্থাৎ হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (Human Metapneumovirus) আক্রান্ত এক শিশু। মাত্র ৬ মাস বয়সেই ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হয় ভিনরাজ্যের বাসিন্দা। এমনই দাবি করেছেন পিয়ারলেস হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সহেলি দাশগুপ্ত।

    চিকিৎসক সহেলি দাশগুপ্তের কথায়, মাস দুয়েক আগে মুম্বই থেকে এরাজ্যে আসেন এক দম্পতি। তাঁদের ৬ মাস বয়সের সন্তানের তীব্র জ্বর হয়। সর্দি-কাশির সঙ্গে যোগ হয় পেটখারাপ। তারপর, ওই শিশুকে ভর্তি করানো হয় শিশুদের জন্য ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে। এরপর শুরু হয় তীব্র শ্বাসকষ্ট। বিশেষ সাপোর্টে বেশ কিছুদিন পর সুস্থ হয়ে ওঠে ওই শিশু। চিকিৎসকের দাবি, সেই সময় একটি পরীক্ষা করানো হয়। নাক এবং গলা থেকে সোয়্যাব নিয়ে ভাইরাস প্যানেল পরীক্ষা করানো হয় ওই শিশুর। সেখানেই ধরা পড়ে HMPV, তারপরেই শুরু হয় সাপোর্টিভ চিকিৎসা। সহেলি দাশগুপ্তদের চেষ্টায় সেরে ওঠে ওই শিশু।

    প্রসঙ্গত, চিনে নতুন করে ছড়াচ্ছে এই ভাইরাস। নতুন স্টেইন বাড়াচ্ছে বিপদ। অনেকেই বলছেন করোনা আবহ ফেরার কথা। ইতিমধ্যেই ভারতে HMPV আক্রান্ত হয়েছে চার শিশু। বেঙ্গালুরুতে দু’জন, আহমেদাবাদ এবং কলকাতায় আক্রান্ত এক।

    কিন্তু এই আবহে ভয় না পেয়ে কী করবেন আপনি?

    পিয়ারলেস হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সহেলি দাশগুপ্ত বলছেন, এই ভাইরাস পুরনো। এখনই এর উৎপত্তি, একথা বলা যাবে না। তবে স্টেইনের বিবর্তন হতে পারে। বর্তমানে চিনে বহু আক্রান্ত হচ্ছেন বলে এত প্রচার হচ্ছে।

    কারা আক্রান্ত হতে পারে?

    বিশেষত, শিশু এবং বৃদ্ধদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকলেও সকল বয়সিরাই কোপে পড়তে পারেন।

    কী কী উপসর্গ?

    ওই শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের কথায়, জ্বর-সর্দি-কাশির সঙ্গে পেটখারাপ। প্রবল শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে শিশুদের ক্ষেত্রে। প্রয়োজন হতে পারে ভেন্টিলেশনেরও।

    কী করবেন?

    আপনার বাড়ির বাচ্চাটি আক্রান্ত হল কি না, এই বিষয়ে নিজে সিদ্ধান্ত না নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ডাঃ সহেলি দাশগুপ্তের কথায়, নির্দিষ্ট পদ্ধতি-পরীক্ষার মাধ্যমে সহজেই রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। HMP ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা, জেনে নিয়ে সঠিক সময়ে চিকিৎসা করলে মৃত্যুর সম্ভাবনা ক্ষীণ।
  • Link to this news (প্রতিদিন)