• আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল ঝুপড়ি, পাকা বাড়ি করে দিল পুরসভা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • গত বছরের অক্টোবরে ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের একটি বস্তি। পুড়ে ছাই হয়েছিল একাধিক ঝুপড়ি। সেক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্তদের আগেই আর্থিক সাহায্য দিয়েছিল সরকার। এবার পুরসভার তরফে ক্ষতিগ্রস্তদের পাকা বাড়ি করে দেওয়া হচ্ছে। সবমিলিয়ে ১৩টি পরিবারের বসবাসের জন্য পাকা বাড়ি করা হচ্ছে সেখানে। জানা গিয়েছে, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর মৌসুমী দাস ব্যক্তিগতভাবে এগিয়ে এসে বাড়িগুলি পাকা করছেন। এর জন্য বাসিন্দারা কাউন্সিলর এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

    জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র এখানে পাকা বাড়ি করা হচ্ছে না, গার্ডেনরিচের জল এবং ট্যাপ ওয়াটারের পরিষেবাও নতুন করে চালু করেছে পুরসভা। সেখানে চারটি ট্যাপ ওয়াটারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এরফলে সেখানে বাসিন্দাদের পানীয় জলের সমস্যা মিটছে। ৯৩ নম্বর ওয়ার্ডের মসজিদপাড়ার ১৪৮ই প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডের পাশে এই বস্তুটি অবস্থিত। সেখানে আগুন লেগেছিল গত বছরের ২৮ অক্টোবরে। জানা যায়, বৈদ্যুতিক স্কুটির ব্যাটারি চার্জ দিতে গিয়ে ওই বস্তিতে আগুন লেগে যায়। তারফলে একাধিক ঝুপড়ি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। মাথার ছাদ হারিয়ে কার্যত পথে নামতে হয়েছিল বাসিন্দাদের। সেই সময় কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ক্ষতিগ্রস্থদের নতুন বাড়ি করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, বাসিন্দাদের পোশাক থেকে শুরু করে যাবতীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়েছিল। 

    দেড় মাস ধরে তাদের রাখা হয়েছিল পার্শ্ববর্তী স্কুলে। সেখানেই তাদের খাওয়া দাওয়া এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই শিবির চালিয়েছিলেন কাউন্সিলর মৌসুমী দাস। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকারের তরফেও ক্ষতিগ্রস্তদের ৩৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয় এবং পুরসভার তরফে ঘর মেরামতের জন্য দেওয়া হয় ৬০০০ টাকা করে। ক্ষতিগ্রস্তরা ইতিমধ্যেই সেই টাকা পেয়ে গিয়েছেন। কাউন্সিলর জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মেয়রের উদ্যোগে এটা সম্ভব হয়েছে। আর ক্ষতিগ্রস্তরা নিজেরা কিছু অর্থ দিয়ে ঘরের ছাদ করতে পেরেছেন। বাসিন্দারা জানান, আগে ঝুপড়ি ছিল এখন রাজ্য সরকার এবং পুরসভার সহায়তায় তারা পাকা বাড়ি পেয়েছেন। এতে তারা খুশি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)