অভিষেকের নাম করে তোলাবাজির মামলা, বিজেপি বিধায়ককে ফের তলব পুলিশের
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৬ জানুয়ারি ২০২৫
তোলাবাজির অভিযোগের মামলায় ফের তলব করা হল বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে’কে। আগামী ৮ জানুয়ারি তাঁকে শেক্সপিয়র সরণি থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে তোলাবাজির অভিযোগে উঠেছিল কোচবিহারের এই বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে। সেই মামলাতেই তাঁকে ফের তলব করা হয়েছে। এর আগে তাঁকে ৩০ ডিসেম্বর তলব করা হয়েছিল। কিন্তু, সেই সময় তিনি হাজির এড়িয়ে গিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, নিখিলরঞ্জনের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তুলেছিলেন কালনার পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, গত ২৭ ডিসেম্বর তাঁকে ফোন করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলা হয়। এই বলে তাঁর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়েছিল। আনন্দ দত্তের অভিযোগ ছিল, তাঁকে ফোনে বলা হয় যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে বলা হচ্ছে। আর্থিক তছরুপের অভিযোগ তুলে ওই ব্যক্তি ফোনে তাঁর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেছিলেন। বলা হয়েছিল, এই টাকা দিলে চেয়ারম্যান পুলিশি তদন্ত এড়িয়ে যেতে পারবেন। তাহলে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করবে না, ধরপাকড় এড়িয়ে যেতে পারবেন।
পরে চেয়ারম্যান ফোন নম্বর ট্র্যাক করে জানতে পারেন, তাঁকে যে নম্বর থেকে ফোন করা হয়েছিল সেটি হুগলির। ঘটনায় পুলিশের দ্বারস্থ হন চেয়ারম্যান। তখন পাল্টা চেয়ারম্যানকে দিয়ে প্রতারকদের টোপ দেয় পুলিশ। এরপর ওই নম্বরে ফোন করে চেয়ারম্যান জানান যে তিনি তাদের দাবি মতো টাকা দিতে রাজি। আর সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল টাকা নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল এমএলএ হস্টেলে। কিন্তু এমএলএ হস্টেলে সেই দুষ্কৃতীরা থাকার সুযোগ পেল কীভাবে? সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখতেই পুলিশ জানতে পারে এমএলএ হস্টেলের যে ঘরে প্রতারকরা ছিল সেই ঘরটি আবার কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দের নামে বুকিং করা। এখানেই প্রশ্ন নিখিলরঞ্জন দের নামে বুক কীভাবে করা হল? সে বিষয়টি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। তখন নাম জড়ায় বিজেপি বিধায়কের।
ঘটনাটি বিধানসভাতে পৌঁছয়। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে। এরপর শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশ এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিধায়ককে তলব করে। তবে ৩০ ডিসেম্বর বিধায়কের হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি হাজিরা এড়িয়ে যান। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর পরামর্শ মেনে তিনি পুলিশি তলবে থানায় হাজিরা দেবেন বলে জানিয়েছিলেন। তবে পরে তিনি কিছুটা সময় চেয়ে তখন হাজিরা এড়িয়ে যান।