• বাড়িতে বসে মদ্যপান, মা বকুনি দেওয়ায় মানিকতলায় অভিমানে আত্মঘাতী কিশোর
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • বাড়িতে বসেই মদ্যপান করছিল কিশোর। তা নিয়ে বকুনি দিয়েছিলেন মা। সেই অভিমানে চরম পদক্ষেপ করল ওই কিশোর। দিয়ে ঘরের মধ্যেই গলায় দড়ি দিয়ে সে আত্মহত্যা করল। ঘটনাটি ঘটেছে কলকাতার মানিকতলায়। খবর পেয়ে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে মালিকতলা থানার পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, কিশোর প্রায়ই বাড়িতে মদ্যপান করত। এনিয়ে এর আগেও পরিবারের তরফে তাকে বাধা দেওয়া হয়েছে। তাসত্ত্বেও বাবা মায়ের কথা না শুনে বাড়িতেই কিশোর মদ্যপান চালিয়ে যাচ্ছিল। তবে শনিবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধমকের সুরেই তাকে বকুনি দিয়েছিলেন তার মা বাবা। জানা যায়, ছেলের পর দিনের পর দিন এমন আচরণে বিরক্ত হয়েছিলেন বাবা মা। শনিবার ওই কিশোর মদ্যপান করার সময় তাকে ধমকের সুরেই ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে বলেছিলেন। পরের দিন রবিবার ভোর ৬ টা নাগাদ ঘরের মধ্যেই সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ছেলের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বাবা-মা। তারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ দ্রুত কিশোরকে উদ্ধার করে আরজি কর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। যদিও ঘটনাস্থল থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। তবে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অভিমানে আত্মঘাতী হয়ে থাকতে পারে কিশোর। 

    আরও জানা গিয়েছে, বছর ১৭-এর ওই কিশোর স্কুলের গণ্ডিও পার করতে পারেনি।  তবে তার বাবা মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, সম্প্রতি বৃহন্নলা গোষ্ঠীর সঙ্গে মেলামেশা করত কিশোর। শুধু তাই নয়, তাদের সঙ্গে নিয়মিত মদ্যপান করত। সেই থেকেই মদের নেশায় কিশোর আসক্ত হয়েছে বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। ছেলেকে মদের নেশার দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য তারা ওই বৃহন্নলাদেরকেই দায়ী করেছেন।

    অভিভাবকের দাবি, শনিবার রাতে দেদার মদ্যপান করে বাড়ি ফেরে কিশোর। তারপরও মদ খেতে থাকে সে। তখন তার মা নিষেধ করেন। বকাঝকাও করেন। তার বাবাও ধমক দেন। এরপর রাতে না খেয়েই শুয়ে পড়ে কিশোর। পরের দিন সকালে ছেলের ঘরের দরজা খুলতেই তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান মা। জানা যায়, সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছা প্যাঁচানো অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)