• রবীন্দ্র সরোবরে জারি হল কড়া ফরমান, যত্রতত্র পশুদের আর খাবার দেওয়া যাবে না
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • দক্ষিণ কলকাতার ফুসফুস বলা হয়ে এই রবীন্দ্র সরোবরকে। সেখানে নানা অভিযোগ মাঝেমধ্যেই উঠতে শুরু করে। লেকের জলাশয়ে নোংরা ফেলা, লেকের মধ্যেই প্লাস্টিক ফেলা, পোষ্যদের মলমূত্র ত্যাগ করানো থেকে শুরু করে পশু–পাখিদের যত্রতত্র খাবার খাওয়ানোর অভিযোগ রয়েছে। আর তার ফলে দূষণ থেকে শুরু করে নানা সমস্যার মুখে পড়তে হয় সাধারণ নাগরিকদের। যাঁরা লেকে প্রাতঃভ্রমণ বা সান্ধ্যভ্রমণ করতে আসেন। এবার ফরমান জারি হয়েছে, রবীন্দ্র সরোবর লেকে যত্রতত্র পশুদেরকে আর খাবার দেওয়া যাবে না। এই নিয়ে এবার নিষেধাজ্ঞা জারি করল কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি ‌।

    এই নির্দেশিকার কথা প্রকাশ্যে আসতেই খুশি সাধারণ নাগরিকরা। তবে যাঁরা এই কাজ করতেন তাঁরা খুশি হতে পারলেন না। কারণ তাঁদের যুক্তি তাঁরা পশুপ্রেমী। তাই তাদের খাবার দেওয়ার কাজে বাধা দান করা হচ্ছে। এটা অনৈতিক। এই বিতর্কের মধ্যেই রবীন্দ্র সরোবরের বাইরের একাধিক গেটে ব্যানার টাঙিয়ে নিষেধাজ্ঞা জানিয়েও দিয়েছে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। তবে বিকল্প কথা ভেবে কুকুর, বিড়াল খাওয়ানোর জন্য চারটি জায়গা চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এখন থেকে সেখানেই পশুদের খাবার দিতে হবে। অন্য আর কোথাও নয়।

    এই বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না পশুপ্রেমীরা। কেন চারটি জায়গায় খাওয়াতে পারা যাবে?‌ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন তাঁরা। এখন পশুপ্রেমীদের দাবি, কোন কোন জায়গায় খাওয়ানো যাবে সেটা বোর্ডে উল্লেখ করে দিয়ে স্থানগুলি জানানো হয়নি। তাই তাঁদের আশঙ্কা, সঠিকভাবে খাবার না পেয়ে কুকুর উত্তেজিত হয়ে পড়তে পারে। আর তার জেরে কামড়েও দিতে পারে। রবীন্দ্র সরোবরের দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তা কর্মীদের এই নিয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও কেএমডিএ সূত্রে খবর, রবীন্দ্র সরোবরে এক নম্বর গেট বুদ্ধ মন্দিরের কাছে, কলকাতা রোয়িং ক্লাব আট নম্বর গেট, নজরুল মঞ্চের কাছে ১১ নম্বর গেট এবং গোলপার্কের কাছে ১২ নম্বর গেটে খাওয়ানোর জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে।

    এছাড়া জানা যাচ্ছে, রবীন্দ্র সবোররে আসা অনেকের অভিযোগ, চলাফেরার পথে নানা জায়গায় কুকুর–বিড়াল খাওয়ানো হয়। তার জেরে উচ্ছিষ্ট পড়ে থাকে। তার উপর দিয়ে হাঁটতে সমস্যা হয়। রবীন্দ্র সরোবরের ভিতর পশুদের খাওয়ানো পুরোপুরি বন্ধ করার দাবি তোলেন তাঁরা। যদিও কেএমডিএ চারটি জায়গা নির্দিষ্ট করেছে। এই বিষয়ে কজন পশুপ্রেমীর বক্তব্য, ‘কোনও নোটিফিকেশন পাইনি। কোন জায়গায় খাওয়ানো যাবে, সেটা জানি না। তা নিয়ে বোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হোক। কুকুর খাবার না পেয়ে দৌড়চ্ছে। খাবার না পেলে উত্তেজিত হয়ে কামড় দেবে। তখন কে দায় নেবে?‌’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)