স্বাস্থ্য ভবন আগেই জানিয়েছিল, সপ্তাহে ৪২ ঘণ্টা ডিউটির পাশাপাশি রাতে অন–কল ডিউটিতে কোনও চিকিৎসক থাকলে তিনি পরের দিন ‘ডে অফ’ নিতে পারবেন না। একই ইউনিটে দু’জনের বেশি শিক্ষক-চিকিৎসক একসঙ্গে ছুটি নিতে পারবেন না। রোজ রাতে বিভিন্ন বিভাগের কোনও না কোনও শিক্ষক-চিকিৎসককে থাকতে হবে। যথেচ্ছ প্রাইভেট প্র্যাকটিস-এ লাগাম টানতে ‘রস্টার’ বেঁধে দেওয়া হয়েছিল আগেই।
নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, সরকারি চিকিৎসকরা নিজেদের কর্মস্থলের বেশি দূরে গিয়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিসের সুযোগ পাবেন না। উত্তরবঙ্গে কোনও চিকিৎসক দক্ষিণবঙ্গে এসে প্রাইভেটে রোগী দেখার সুযোগ পাবেন না। প্রাইভেট প্র্যাকটিসের জন্য শুধুমাত্র নন-প্র্যাকিটিসিং অ্যালাউয়্যান্স না নিলেই হবে না, প্রয়োজন হবে এনওসির। সোজা কথায়, প্রাইভেট প্র্যাকটিসের জন্য ঊর্ধ্বতনের অনুমতি ব্যতীত এক পাও চলতে পারবেন না সরকারি চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত, আরজি কর আন্দোলনের সময়ই চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চলাকালীন বহু চিকিৎসকদের চুটিয়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করার অভিযোগ উঠেছিল। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে একটি বৈঠকে তিনি জানিয়েছিলেন, কর্মবিরতি চলাকালীন ৫৬৩ জনের প্রাইভেট প্র্যাকটিসের তথ্য রয়েছে তাঁর হাতে।