ওই তরুণী ঝাড়খণ্ডের দুমকার একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়েন। রবিবার কুলিক এক্সপ্রেস ধরে কলেজে দুমকা যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে রওনা হন। কথা ছিল, কুলিক এক্সপ্রেসে রামপুরহাট পর্যন্ত যাবেন। সেখান থেকে আর একটি ট্রেনে দুমকায় পৌঁছবেন।
পরিবারের দাবি, মালদা টাউন স্টেশনে ঢোকার আগে বাড়ির লোকজনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় ছাত্রীর। কিন্তু এর পর থেকে আর যোগাযোগ করা যায়নি। পরে জানা যায়, ফরাক্কা ব্রিজের উপর থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে। সেই ব্যাগ এনটিপিসি ফাঁড়িতে জমা দেন উদ্ধারকারী ব্যক্তি।
পরে জানা যায়, এই ব্যাগ হরিশ্চন্দ্রপুরের তরুণীর। ফোন নম্বর জোগাড় করে বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। এই মুহূর্তে চরম দুশ্চিন্তায় তরুণীর পরিবার। অপহরণের সম্ভাবনার কথাও উঠে আসছে বাড়ির লোকজনের মুখে। তবে এখনও কাউকে সন্দেহ করছেন বলে পরিবারের তরফে জানানো হয়নি। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। বন্ধু, পরিচিতদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
নিখোঁজ ছাত্রীর বাবার কথায়, ‘আমার মেয়ে দুমকায় সফ্টওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে। কুলিক এক্সপ্রেসে কলেজ যাচ্ছিল। এনটিপিসি ফাঁড়ি থেকে জানানো হয়, নেতাজি সেতুর উপর থেকে ওর ব্যাগ পাওয়া গিয়েছে। ব্যাগে মোবাইল, ১৩০০ টাকা দিয়েছিলাম, সবই আছে। বুঝতেই পারছি না কী থেকে কী হল। ব্যাগ, টাকা সবই জায়গা মতো আছে। আমার মেয়েটা যে কোথায়, সেটাই বোঝা যাচ্ছে না।’