• জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় চন্দননগরে যে বিপত্তি হয়েছিল, তারই পুনরাবৃত্তি, ক্ষুব্ধ এলাকার লোকজন
    এই সময় | ০৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • চন্দননগর হাটখোলায় আবার ধসের অভিযোগ। জগদ্ধাত্রী পুজোর আগে চন্দননগরের এই এলাকাতেই বসে গিয়েছিল রাস্তার একাংশ। জলের পাইপ লিক করে মাটি নরম হয়ে এলাকায় গর্ত হয়ে গিয়েছে। আতঙ্কে এলাকার বাসিন্দারা। যে ভাবে ধস নামছে, তাতে রাস্তার ধারের বাড়িগুলোও যে কোনও সময় হেলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর। পুরসভা কাজ করছে। তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ,খুবই ঢিমে তালে কাজ হচ্ছে। চন্দননগরের মেয়রের পাল্টা দাবি, স্থায়ী সমাধানে সময় লাগবে।

    এই হাটখোলা রোড ধরে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রা যায়। পুজোর মুখেই মাটি ধসে বিশাল গর্ত দেখা দেয় রাস্তায়। চন্দননগরের ১৬ ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ঠিক মাঝখানে এই রাস্তার একটা অংশ সে বার ছোটো পুকুরের চেহারা নিয়েছিল। পুজো বলে তড়িঘড়ি রাস্তা মেরামতের ব্যবস্থা করে কেএমডিএ ও চন্দননগর পুরসভা। স্থানীয়দের অভিযোগ, তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে কোনও মতে কাজ হয়েছিল। আবারও ধস নেমেছে।

    স্থানীয় ব্যবসায়ী অমিত ঘোষের কথায়, ‘বেশ কয়েক বছর ধরে এই সমস্যা চলছে আমাদের এলাকায়। জগদ্ধাত্রী পুজোর আগেও তো ধস নেমেছিল। জল বেরোনোর জন্যই ধস নামে। পুজোর মুখে পুরসভা তড়িঘড়ি কাজ করল, আবার সেই এক পরিস্থিতি। আমরা যারা স্থানীয় ব্যবসায়ী, আমাদের সমস্যা হচ্ছে। বছর যদি দু’একবার এ ভাবে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়, সেটা অসুবিধার। দোকানে খরিদ্দার আসতে পারছেন না। আর এলাকার বাড়িগুলিও তো বিপদের মুখে পড়তে পারে।’

    চন্দননগর পুরসভার মেয়র রাম চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘এখানে পাইপ লাইন, ইলেকট্রিক লাইন, গ্যাসের লাইন আছে। সঙ্গে আবার সুয়ারেজ লাইনও আছে। সাতের দশকে লাইন পাতা হয়। সমস্ত ডিপার্টমেন্টকে নিয়ে এই কাজটা করতে হচ্ছে। এ বার কেএমডিএ-এর অ্যাসিসট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, একজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের নেতৃত্বে এই কাজ হচ্ছে। কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়াররাও আছেন। আমরা স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করছি। এক মাসের মতো সময় হাতে নিয়ে কাজ করছি।’ আর ধীর গতিতে কাজের অভিযোগ প্রসঙ্গে মেয়রের বক্তব্য, ধীর গতিতে কাজ তো করতেই হবে। ভাঙন প্রবণ এলাকা। স্থায়ী সমাধান করতে গেলে ধীরে সুস্থে কাজ করতে হবে।

  • Link to this news (এই সময়)