• রক্তে চিনির পঞ্চাশে পা, সুগার রোগীদের নিয়ে বিরাট ভূরিভোজের আয়োজন চুয়াত্তরের বৃদ্ধের
    এই সময় | ০৬ জানুয়ারি ২০২৫
  • ৫০ বছর ধরে শরীরে বাসা বেঁধেছে মধুমেহ রোগ। ভেঙে পড়েননি। মেনে চলেছেন চিকিৎসকদের পরামর্শ। লাগাম টেনেছেন খাওয়া-দাওয়ায়। সঙ্গে কিছুটা শরীরচর্চা। দিব্যি আছেন নদিয়ার গৃহশিক্ষক নিতাই প্রামাণিক। সুগারের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে পাত পেড়ে খাওয়ালেন ব্লাড সুগার আক্রান্তদের। বার্তা একটাই — নিয়ম মেনে চললে ডায়াবেটিস রোগীরাও সুস্থ জীবন কাটাতে পারেন।

    নদিয়ার পলাশিপাড়ার বাসিন্দা নিতাই প্রামাণিক। মাত্র ২৪ বছর বয়সে তাঁর ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। যৌবন বয়সেই রোগাক্রান্ত হয়ে ভেঙে পড়েননি। নিতাই বলেন, ‘চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে একদিকে যেমন খাওয়া-দাওয়াতে লাগাম টানতে হবে, তেমনি প্রাতঃভ্রমণ থেকে শুরু করে শরীরচর্চা করলে দীর্ঘদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকা যাবে। আমিও সেই নিয়ম মেনেই চলে এসেছি।’

    কঠিন ব্যাধি নিয়েও অর্ধশতবর্ষ অতিক্রম করার কারণে উদযাপনের সুযোগ ছাড়েননি। নিজের বাড়িতেই আয়োজন করেন ভুরিভোজের। ব্লাড সুগার আক্রান্তদের ডেকে খাওয়ালেন মাছ, মাংস, চাটনি, মিষ্টিও। দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এসে তাঁর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন করেন। তাঁদেরই একজন বলেন, ‘নিতাইবাবু আমাদের বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। ওঁর এই আয়োজনে আমরা খুশি। ওঁর দীর্ঘায়ু কামনা করি।’

    স্থানীয়দের কথায়, বছরের প্রতিটি দিনই সকালে তাঁকে হাঁটতে দেখা যায়। রোদ-বৃষ্টি যাই হোক না কেন, উনি নিয়মমাফিক হাঁটাচলা করেন, শরীরচর্চা করেন। হাসিমুখে সকলকে সুস্থ থাকার বার্তাও দেন। গণভোজন করিয়ে পরিতৃপ্ত নিতাই বলেন, ‘সবে তো ৭০ বছর, এখনও অনেকটা পথচলা বাকি...’

  • Link to this news (এই সময়)