• বাংলাদেশ থেকে ছাড়া পাওয়া মৎস্যজীবীদের আর্থিক সহায়তা, 'দিদি'র প্রতি কৃতজ্ঞ মৎস্যজীবীরা...
    আজকাল | ০৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: 'ওঁরা মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। ওঁদেরকে জেলে আটকে মারধোর করা হয়েছে। আমরা ওঁদেরকে ফিরিয়ে এনেছি।' গঙ্গাসাগর মেলার মঞ্চে দাঁড়িয়ে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কথাগুলো বলছেন তখন মৎস্যজীবী পরিবারের মহিলাদের চোখে জল। মাথায় কাপড় দিয়ে গলায় সরকারি কার্ড ঝুলিয়ে মঞ্চের একপাশে দাঁড়িয়ে তাঁরা 'দিদি'র কথাগুলো শুনছিলেন। ওঁদের মধ্যেই একজন বলেন, 'দু'মাস যে কীভাবে কেটেছে আমরাই জানি। ঘরের লোকজন ভিনদেশের জেলে আটকে আমাদের মুখে কি ভাত উঠবে বলুন?'   

    এদিন প্রত্যেক মৎস্যজীবীর পরিবারের হাতে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য তুলে দেন মমতা। সঙ্গে আরও কিছু উপহার। পরনে লাল কাপড়, গায়ে শাল জড়ানো এক মহিলার সঙ্গে মঞ্চেই কিছু কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর কথা শুনে ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানান ওই মহিলা। এদিন প্রত্যেক মৎস্যজীবী পরেছিলেন সাদা রঙের পাঞ্জাবী। গলায় ঝুলছে নম্বর লেখা ব্যাচ। তাঁদের দিকে তাকিয়ে মুখ্যমন্তী বলেন, 'বাংলাদেশে জেলে থাকাকালীন ওঁদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে। কেউ পায়ে কেউ কোমরে চোট পেয়েছে। হাঁটাচলা করতে ওঁদের অসুবিধা হচ্ছে। আমরা ওঁদের চোখের জল মুছিয়ে দিলেও ওঁদের শরীরের আঘাত সারতে সময় লাগবে।' এদিন মৃত এক মৎস্যজীবীর পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যও দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

    মৎস্যজীবী পরিবারের মহিলাদের কথায়, 'আমরা নদীর পাড়ে বাস করি। সাগরে মাছ ধরে সংসার চলে। আমাদের গ্রামের মানুষের কথা দিদি বুঝেছেন। তিনি আমাদের ঘরের লোকেদের ফিরিয়ে এনেছেন। আমরা ওঁর কাছে চির কৃতজ্ঞ। নইলে ওখানে যা গণ্ডগোল হচ্ছে এত সহজে কি বাংলাদেশের জেল থেকে ছাড়া পেত? গঙ্গাসাগর মেলার মুখে বাড়ির লোক ফিরে আসায় আমরা কতটা খুশি বলে বোঝান যাবে না।' জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো আহত মৎস্যজীবীদের ভালোভাবে চিকিৎসা করানো হবে।
  • Link to this news (আজকাল)