• পুরুলিয়ায় পুলিশ কন্যা হত্যার কিনারা, গ্রেপ্তার ১
    আজকাল | ০৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • অরিন্দম মুখার্জি: পুলিশের কন্যা খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার এক যুবক। পুরুলিয়া জেলায় কর্তব্যরত এক মহিলা পুলিশের মেয়েকে গত ডিসেম্বরের ৩০ তারিখ ভোরবেলা থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। মেয়েটি বেলগুমা পুলিশ লাইনের আবাসন থেকে নিখোঁজ হয়ে যায় বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। এর ঠিক পাঁচ দিন পরে একটি পুকুর থেকে নিখোঁজ কিশোরী ১৩ বছরের প্রমীলা মুর্মুর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এরপরই তদন্তে নামে পুলিশ। পুরুলিয়ার টামনা থানার পুলিশ অভিজিৎ বাউড়ি নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে। ধৃতের বাড়ি পুরুলিয়ার শহরের হুচুক পাড়ায়। 

    পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুসারে, গত ডিসেম্বরের ৩০ তারিখের ভোরে নিখোঁজ হয়ে যায় প্রমীলা মুর্মু। তার মা পুরুলিয়া জেলা পুলিশের কর্মী, এ জন্য় কিশোরী বাবাও বেলগুমা পুলিশ লাইন আবাসনে বসবাস করেন। কিশোরী প্রমিলা মুর্মু পুরুলিয়া শহরে চিত্তরঞ্জন বালিকা বিদ্যালয় এর ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। প্রমিলা নিখোঁজ হওয়ার পর তার বাবা টামনা থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিখোঁজ এবং অপহরণের মামলা দায় করেন। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২৯শে ডিসেম্বর নৈশভোজ সেরে সে ঘুমিয়ে পড়েছিল। কিন্তু তারপরদিন ভোর থেকেই আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করলেও কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। 

    গত শনিবার হঠাৎ পুরুলিয়া শহরের চার নম্বর ওয়ার্ডের একটি জলাশয়ে অজ্ঞাত পরিচয় কিশোরীর মৃতদেহ ভাসতে দেখা যায়। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে কিশোরীর দেহটি জলাশয় থেকে উদ্ধার করে। পরে বাড়ির লোকজন কিশোরীর মৃতদেহটি শনাক্ত করেন। পুরুলিয়া জেলার সদর থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়। মৃতদেহ দেকে পুলিশ অনুমান ছিল, দিন কয়েক আগেই কিশোরীকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। রবিবার মৃত তরুণীর পরিবারের তরফ থেকে টামনা থানায় যে অভিযোগ করা হয়েছিল তারই ভিত্তিতে খুনের মামলা দায়ের হয়েছিল। এরপর তদন্তে নেমে পুলিশ এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে। 

     
  • Link to this news (আজকাল)