• কোন পথে জিনাতের পুরুষ সঙ্গী? রয়্যালের মন বুঝতে অপারগ বাংলা- ঝাড়খণ্ড
    প্রতিদিন | ০৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: সাতসকালে সবজির জমি জুড়ে বড় বড় পায়ের ছাপ দেখে আঁতকে উঠেছিলেন কৃষক ঠাকুর মাঝি। সোমবার বেলা গড়াতেই বুঝে নিতে অসুবিধা হয়নি ওই পায়ের ছাপ রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। আর তারপরেই ভয়ে কাঁটা ঝাড়খন্ডের সরাইখেলা-খরসোওয়া জেলার চান্ডিল থানার পাটা, এদেলবেড়ার মত শহর ঘেঁষে থাকা গ্রামগুলি। ঝাড়খণ্ডের সরাইকেলা-খরসোওয়া বনবিভাগের চান্ডিল রেঞ্জের চৌকা থানার বালিডি জঙ্গল থেকে যে দলমার দিকে মুখ ঘুরিয়েছে জিনাতের পুরুষসঙ্গী। গরু মেরে, বাছুর খেয়ে ছদিন বালিডি জঙ্গলে কাটানোর পর।

    জিনাতের গলায় ছিল রেডিও কলার। তার মতিগতি সবই ছিল নিয়ন্ত্রণে। তার পুরুষসঙ্গী এই রয়্যালের গলায় সেই যন্ত্র নেই। তাই নিশ্চিতভাবে তার গতিবিধি যেমন বোঝা যাচ্ছে না। তেমনই আধুনিক যন্ত্রপাতির সাহায্যে ট্র্যাক করতে না পারায় তার স্বভাবও অজানা ঝাড়খণ্ড-বাংলার বন বিভাগের কর্তাদের। যেভাবে সোমবার ভোর রাতে জাতীয় সড়ক ৩৩ (তামাড়-বুন্ডু-চৌকা- জামশেদপুর) পার হয়ে পাটা টোল প্লাজা ঘেঁষে দলমামুখী হয়েছে। তাতে ঝাড়খণ্ড বনবিভাগ মনে করছে এই বাঘ বেশ সাহসী! জিনাতের মতো একেবারেই লাজুক নয়। না হলে ভোর বেলায় জাতীয় সড়কে গাড়ির আওয়াজ, তীব্র হর্ন। সঙ্গে আলোর তীব্রতায় ওই রাস্তা পার করে! পাটা এলাকার বাসিন্দা ঠাকুর মাঝি নামে ওই কৃষক বলেন, ” রবিবার রাত পর্যন্ত ওই পায়ের ছাপ ছিল না। রাত আটটা পর্যন্ত জমিতে স্বল্প সেচের কাজ করছিলাম। এদিন সাতসকালে উঠে দেখি জমি জুড়ে ওই পায়ের ছাপ। সবাইকে দেখানোর পর বুঝতে পারি ওটা রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের। ভাবলেই যেন কেঁপে যাচ্ছি। জমি থেকে যেদিকে পায়ের ছাপ মিলেছে তাতে ওই জন্তু দলমার দিকে গেলেও মনে প্রশ্ন জাগছে আবার ফিরে আসবে না তো? “
  • Link to this news (প্রতিদিন)