পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রাক্তন সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুল হাই। অশোকনগর থানার অন্তর্গত কামারপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল। রাস্তার পাশেই উচু পাঁচিল ঘেরা দোতলা বাড়ি। বাড়ির মালিক পুলিশে কর্মরত ছিলেন বলে সমঝে চলতেন পাড়ার সকলেই। তবে তিনিই যে পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে জড়িত মানতে পারছেন না অনেকেই। তাঁর গ্রেপ্তারির ঘটনায় হতবাক পাড়ার বাসিন্দারা।
জানা গিয়েছে, আব্দুল হাই কর্মজীবনের শেষ চার বছর পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যাঁরা ভুয়ো নথি দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করতে চাইতেন, তাঁরা এই আধিকারিকের সঙ্গেই যোগাযোগ করতেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি যে পাসপোর্ট সংক্রান্ত এই ধরনের চক্রের সঙ্গে জড়িত তা বিন্দুমাত্র টের পাননি কেউ। এক বছর হল অবসর নিয়েছেন তিনি। এলাকায় সৎ লোক বলেই পরিচিত ছিলেন অশোকনগর থানার অন্তর্গত কামারপুর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হাই।
পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এর আগেও তদন্তের জন্য লালবাজারে তাঁকে ডাকা হয়েছিল। বাড়িতে এসে এভাবে হঠাৎই তাঁকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় পরিবারের দাবি, তাঁর মতো সৎ ব্যক্তিকে কোনওভাবে ফাঁসানো হয়ে থাকতে পারে। অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করেননি বলেই হয়তো তাঁকে এমন ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়েছে বলেও মনে করেন স্ত্রী-সহ পরিবার।
হাবরার SDPO প্রসেনজিৎ দাস জানান, এই ঘটনায় অশোকনগর থানা বা হাবরা থানায় কোনওরকম অভিযোগ পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি এই বিষয়ে তদন্তভার সম্পূর্ণ কলকাতা পুলিশের। কারণ কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাই অশোকনগর থানায় এই বিষয়ে কোনওরকম হস্তক্ষেপ করতে পারে না।
তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন উঠে আসুক আসল সত্য। প্রাক্তন পুলিশ কর্মী আদৌ দোষী না কি তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে এখন সেটাই জানতে চাইছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।