• ‘চুপ করে বসুন!’ প্রাথমিক নিয়োগ মামলায় বিচারকের ধমক খেলেন তৃণমূলের মানিক
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • মানিক ভট্টাচার্য। প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের প্রাক্তন সভাপতি তিনি। তার বিরুদ্ধে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ভুরি ভুরি অভিযোগ।তবে গত সেপ্টেম্বরে ইডির মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি। 

    প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সোমবার সেই প্রক্রিয়া চলার মানিক ভট্টাচার্যকে কার্যত ধমক দেন বিচারক। বিচারক মানিক ভট্টাচার্যকে চুপ করে কোর্টরুমে বসে থাকতে বলেন। না হলে তিনি রক্ষীকে ডেকে আনবেন বলেও জানিয়ে দেন। 

    সোমবার রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়, প্রোমোটার অয়ন শীল, তৃণমূলের বহিষ্কৃত নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও সন্তু গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে ইডির চার্জ গঠন হয়েছে আদালতে। 

    সোমবার মানিকের বিরুদ্ধে চার্জ পড়ে শোনান বিচারক। তিনি জানিয়েছেন, মানিক ভট্টাচার্য প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম মূল চক্রী। তিনি জানান ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তাপস মণ্ডলের সঙ্গে একযোগে নিজের পদের অপব্যবহার করে অযোগ্যদের চাকরি দিয়েছিলেন। এই মামলায় আর এক অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র তথা কালীঘাটের কাকু নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন তাঁর সঙ্গে। তাপসের মাধ্য়মে মানিক টাকা নিয়েছেন। প্রার্থীদের তালিকা আদান প্রদান করেছেন। জানান বিচারক।

    এদিকে বিচারক মানিককে জিজ্ঞাসা করেন তিনি দোষী না নির্দোষ? এরপর মানিক প্রশ্ন করেন,মামলা থেকে ডিসচার্জের যে আবেদন করা হয়েছিল তার অর্ডার এখনও পাননি। তাহলে চার্জগঠন হবে কী করে? এরপর বিচারক বলেন, আপনি নির্দোষ দাবি করছেন সেটাই লিখলাম। এরপরই মানিককে বিচারক বলেন, চুপ করে বসুন। না হলে বিচারবিভাগীয় ক্ষমতা ব্যবহার করতে বাধ্য় হব। রক্ষীকে ডাকছি। এদিকে মানিক অবশ্য় নিজেকে নির্দোষ হিসাবে বার বার দাবি করেছেন। 

    বর্তমানে জামিনে মুক্ত মানিক ভট্টাচার্য। একাধিক শর্তসাপেক্ষে জামিন পেয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। যে শর্তগুলির ভিত্তিতে তিনি জামিন পেয়েছিলেন তার মধ্য়ে অন্যতম, তাঁকে মোবাইল নম্বর পাসপোর্ট জমা রাখতে হবে। তিনি কোনও সাক্ষীকে ভয় দেখাতে পারবেন না। হুমকি দিতে পারবেন না। তদন্তকারী অফিসারের অনুমতি ছাড়া বাইরে যেতে পারবেন না। জেল থেকে বেরিয়েই তাঁর মুখে ছিল চওড়া হাসি। সংবাদ মাধ্যমের সামনে কথা বলার সময় বার বারই হেসে ফেলেছিলেন তিনি।

    তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে সেদিন বলেছিলেন , সত্যমেব জয়তে। এমনকী তিনি যে নির্দোষ কার্যত সেকথাও নানাভাবে জানিয়ে দেন। তবে দীর্ঘদিন পরে মুক্ত হয়ে তিনি সেদিন ছিলেন একেবারে খোসমেজাতে। পাঞ্জাবি পরে জেল থেকে বের হন তিনি।

    শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পরিষদের প্রাক্তন সভাপতি তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। প্রায় দু’বছর পর অবশেষে জামিন পেলেন পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শুভ্রা ঘোষ তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছিলেন।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)