সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: সোমবার বিষ্ণুপুরের চাকদহ জুনিয়র হাইস্কুলে অভিনব সব্জিমেলা অনুষ্ঠিত হল। দ্বারিকা-গোঁসাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষিপ্রধান এলাকার ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের খেতের নানা সব্জি বিদ্যালয়ে নিয়ে আসে। আলু, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টোম্যাটো, ওলকপি, পালং, পেঁপে, গাজর, মটর, বেগুন, মুলো প্রভৃতি শাক ও সব্জি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সাজিয়ে তা প্রদর্শন করা হয়। শিক্ষক-শিক্ষিকার বিভিন্ন শাক-সব্জির গুণাগুণ সম্পর্কে পড়ুয়াদের বোঝান। বিদ্যালয়ের অভিনব এই মেলা দেখতে অভিভাবকরাও ভিড় জমান।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৌমেন পাল বলেন, নতুন বছরের ২ জানুয়ারি থেকে ৮জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট উইক পালিত হচ্ছে। পড়ুয়াদের স্কুলের প্রতি আকর্ষণ বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। আমরা একটু অভিনব সব্জিমেলার আয়োজন করেছি। কৃষিপ্রধান এলাকা হওয়ায় পড়ুয়ারা অভিভাবকদের সম্মতি নিয়ে খেত থেকে শাক ও সব্জি বিদ্যালয়ে আনে। তা সাজিয়ে প্রথমে প্রদর্শন করা হয়। পরে তার গুণাগুণ আলোচনা করা হয়। এদিন পড়ুয়াদের আনা শাকসব্জি দিয়ে মিড ডে মিল রান্নাও হয়।
বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক প্রবীর দত্ত বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার কৃষি সংক্রান্ত বিষয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য কৃষিমেলার আয়োজন করছে। পড়ুয়াদের মধ্যেও কৃষি সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। তা তাদের ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে কাজে আসবে। সেই লক্ষ্যেই স্টুডেন্ট উইকে অভিনব সব্জিমেলার আয়োজন করা হয়। পড়ুয়াদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ লক্ষ্য করা গিয়েছে। অভিভাবকদেরও সাড়া পাওয়া গিয়েছে। অপর সহশিক্ষক রাজকিশোর পাত্র ও সুনির্মল মণ্ডল বলেন, শাক-সব্জির পুষ্টিগুণ ছাড়াও যথেচ্ছভাবে রাসায়নিক ও কীটনাশকের ব্যবহারের ফলে মানুষের শারীরিক ক্ষতি হচ্ছে। কীটনাশকের পরিমিত ব্যবহারের সুফল সম্পর্কেও পড়ুয়াদের সম্যক ধারণা দেওয়া হয়।