হৃদরোগে মৃত্যু তিমির, জানাল ময়নাতদন্ত, সাগরের সুমতিনগর
বর্তমান | ০৭ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সাগরদ্বীপে যে তিমির দেহ উদ্ধার হয়েছে প্রায় ১৩ দিন আগে তার মৃত্যু হয়েছিল হৃদরোগে। সোমবার ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর এ কথা জানা গিয়েছে। এই স্তন্যপায়ী মাছটির দেহের দু’টি স্তরে পচন ধরে গিয়েছিল। দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছিল। সে অবস্থায় ভেসে রবিবার চলে এসেছিল সুমতিনগরের নদীর চরে। কয়েকদিন আগে কুড়ি ফুট লম্বা একটি জীবন্ত তিমি চলে এসেছিল। সেটি ছিল বালিন প্রজাতির। মৃত তিমিটিও ওই একই প্রজাতির। তবে এটি শিশু। মাত্র আট ফুটের মতো লম্বা।
বনবিভাগ তিমির দেহ উদ্ধার করে পাঠিয়েছিল ময়নাতদন্তে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রাণীটির শরীরের বাইরে বা ভিতরের অংশে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তার বিষয়ে আরও তথ্য জানতে দেহাংশের নমুনা জুলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার কাছে পাঠানো হবে। এছাড়াও বিস্তারিত গবেষণার জন্য দেহের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
পরপর দু’বার এই অঞ্চলে একই প্রজাতির তিমি চলে আসার ঘটনা নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। বনদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, এ বিষয়ে গভীর বিশ্লেষণের প্রয়োজন। এর আগেও বকখালি সমুদ্র সৈকতে অন্য এক প্রজাতির তিমির দেহ মিলেছিল। দিকভ্রষ্ট হয়েই কি এদিকে চলে আসছে তারা? তিমি বিশেষজ্ঞদের একটি অংশের বক্তব্য, বালিন তিমি সমুদ্রের গভীর জলের প্রাণী। কোনওভাবে অগভীর জলে ঢুকে পড়লে সমস্যায় পড়ে যায়। তখন জলের স্রোতই হয় তাদের অন্যতম ভরসা। তাতে গা ভাসিয়ে দিকভ্রষ্ট হয়ে অন্যত্র চলে যায়। এক সমুদ্র থেকে ঢুকে পড়ে অন্য সমুদ্রে। এক্ষেত্রে সম্ভবত এমনই কিছু হয়েছে। তারপর দীর্ঘপথ যাত্রার কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে এসবই অনুমান। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন। -নিজস্ব চিত্র