• শতবর্ষে পা শিখরবালির কালিদাসীর, পঞ্চায়েতের উদ্যোগে কাটা হল কেক
    বর্তমান | ০৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বারুইপুর: একশো বছরে পা দিয়েছেন বারুইপুরের শিখরবালি দু’নম্বর পঞ্চায়েতের চন্দনপুকুরের বাসিন্দা কালিদাসী পুরকাইত। সোমবার ঘটা করে পালন হল তাঁর জন্মদিন। পঞ্চায়েতের কর্তারা তা উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। 


    এদিন সকাল থেকেই সাজ সাজ রব এলাকায়। উড়ল বেলুন। পঞ্চায়েত প্রধান মালা পরিয়ে সম্মান জানান কালিদাসীদেবীকে। উপহার দেওয়া হয় শাল। বার্থডে সং গান পঞ্চায়েত সদস্য ও কালিদাসীর পরিবারের লোকজন। চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়িয়ে কেক কাটেন এই শতায়ু। পায়েস খান। এমনকি নিজে গানও গান। পঞ্চায়েতের এ হেন উদ্যোগে খুশি তিনি। বললেন, ‘খুব ভালো লাগছে। আমায় খুব যত্ন করেছে।’ পঞ্চায়েতের প্রশংসা তাঁর পরিবারের মুখেও। পঞ্চায়েত প্রধান মেনকা নস্কর বলেন, ‘আমরা খুব খুশি গ্রামের সবথেকে প্রবীণ মানুষটিকে একশো বছরের জন্মদিনে সম্মান জানাতে পেরে। গ্রামের কেউ একশো বছর অতিক্রম করলে এভাবেই জন্মদিন পালন করব।’


    বয়সের ভার এখনও অচল করতে পারেনি একশো বছরের এই মহিলাকে। তবে চোখে কম দেখেন। কিন্তু কথা বলেন স্পষ্ট। মাংস খাওয়া ছাড়লেও মাছ চাই। সুর মিলিয়ে ‘খোকা ঘুমলো’ গান গেয়েছেন অনুষ্ঠানে। ছেলে, দুই মেয়ে, বৌমা, নাতনি ও নাতজামাইকে নিয়ে এসেছিলেন। এর আগে রবিবার বাড়িতেও তাঁর জন্মদিন পালন হয়েছে। প্রায় সাড়ে তিনশো জন মাছ, মাংস খেয়েছিলেন। নাচ, গানে মেতে উঠেছিল পরিবার। পঞ্চায়েতেও খাওয়াদাওয়ার আয়োজন হয়েছিল। কালিদাসীকে দেওয়া হয়েছিল ভাত, ডাল, আলুভাজা, শাকভাজা, বেগুনভাজা, চিংড়ি, কাতলা মাছ, রসগোল্লা। ছেলে শংকর পুরকাইত বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য যে, পঞ্চায়েত মায়ের জন্মদিন পালন করল। ইংরেজদের অত্যাচার থেকে ছিয়াত্তরের মন্বন্তর সবই মনে আছে তাঁর। নাতনি রঞ্জিতা, শ্যামলী, শেফালি, অঞ্জলি বলেন, ঠাকুমার মুখেই শোনা ইংরেজদের অত্যাচারের কাহিনি। সকালে মুড়ি, চা খেয়ে কাছে টেনে নেন গল্প শোনাতে।
  • Link to this news (বর্তমান)