এই সময়: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি প্রশাসনিক বৈঠকে বলেছিলেন, কেউ সরকারি জায়গা দখল করে রাখলে তা বরদাস্ত করা হবে না। কলকাতার রাস্তায় হকারদের রমরমা নিয়ে উষ্মাও প্রকাশ করেন তিনি। সূত্রের খবর, তার পরেই হকার নিয়ন্ত্রণে ফের তৎপর হয়ে উঠেছে কলকাতা পুরসভা।
সংশ্লিষ্ট কাজের দায়িত্বে থাকা পুরসভার একাধিক আধিকারিক জানিয়েছেন, টাউন ভেন্ডিং কমিটির (টিভিসি) নির্দেশের বাইরে শহরের কোথাও কেউ কোনও হকারি করতে পারবেন না। নির্দেশ না মানলে, সেই সব হকারের বিরুদ্ধে পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাবে পুরসভা। এরই মধ্যে নিউ মার্কেট এলাকায় দফায় দফায় নিয়ম অমান্যকারী হকারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ছে পুলিশ।
সেখানে হলুদ লাইনের বাইরে বসা হকারদের সরিয়েও দেওয়া হয়। আটক করা হয় বেশ কয়েকজন হকারকে। পুজোর আগেই কলকাতা জুড়ে সমীক্ষা করে ৫৫ হাজার হকারের তালিকা নবান্নে পাঠিয়েছে পুরসভা। এই সব হকারকে পরিয়পত্র এবং ভেন্ডিং সার্টিফিকেট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে টিভিসি। শহরের বিভিন্ন এলাকায় ফুটপাথে হলুদ লাইনও কেটে দেওয়া হয় হকারদের। ওই লক্ষ্মণরেখাতেই হকারদের হকারি করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট বিভাগের এক আধিকারিক জানাচ্ছেন, গত অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত টানা উৎসবের মরশুম যাওয়ায় শহরের বিভিন্ন এলাকায় নতুন হকরাদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। উৎসবের মরশুমে মানবিক ভাবে বিষয়টি বিবেচনা করে হকার নিয়ন্ত্রণে শিথিলতা দেখায় পুরসভা। পুলিশও ছাড় দেয়।
কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ফের শহরের বিভিন্ন ফুটপাথে বসে পড়েছেন অনেক নতুন হকার। পুরসভার এক আধিকারিক জানান, দু’দফার সমীক্ষায় ৫৫ হাজার হকার চিহ্নিত হয়েছিল। এর পরে নতুন করে যাঁরা বসেছেন এখন তাঁদের খোঁজ চলছে। পুলিশকেও নজর রাখার আর্জি জানানো হয়েছে।