এই সময়: পাসপোর্ট জালিয়াতির মামলায় কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কর্মী আব্দুল হাই গ্রেপ্তার হওয়ার পরে কিছু কিছু মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে। শুধু তা-ই নয়, এই জালিয়াতির ঘটনায় তদন্তকারীদের নজরে রয়েছেন বাহিনীর আরও কয়েকজন, যাঁরা নানা ভাবে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনে যুক্ত রয়েছেন বা ছিলেন।
এই মামলায় পুলিশি ধড়পাকড় নিয়ে সোমবার প্রথম মুখ খুললেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। এ দিন লালবাজারে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘পাসপোর্ট তদন্ত চলছে। এখনই এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না। যে বা যাঁরা যুক্ত থাকবেন, তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। অ্যাকশন হবে।’
পাসপোর্ট মামলায় এখনও পর্যন্ত গোয়েন্দাদের জালে পড়েছেন ন’জন। তাঁদের মধ্যে সোমবার জামিন পান ডাকঘরের অস্থায়ী কর্মী দীপক মণ্ডল। পুলিশ সূত্রে খবর, আবেদনকারীর কাছে পাসপোর্ট পৌঁছে দিতেন দীপক। এ দিন ওই মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে জালিয়াতিতে যুক্ত থাকার শক্তপোক্ত কোনও তথ্যপ্রমাণ আদালতে পেশ করতে পারেননি তদন্তকারী অফিসাররা।
সেই কারণে এ দিন তাঁকে আদালতে পেশ করা হলে জামিন দিয়ে দেন বিচারক। একই সঙ্গে পেশ করা হয়েছিল ধৃত সমরেশ বিশ্বাসের ছেলে রিপনকেও। এ দিন তাঁকে অবশ্য জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। বাবা–ছেলের এই জুটি পাসপোর্ট জালিয়াতির ঘটনায় এজেন্টের ভূমিকায় ছিলেন। তাঁরা ভুয়ো নথিপত্র জোগাড় করে অন্যতম চক্রী মনোজ গুপ্তাকে সাহায্য করতেন। তার জন্য কমিশনও পেতেন তাঁরা।
অভিযোগ উঠেছিল, পাসপোর্ট জালিয়াতির ঘটনায় ডাকঘরের কয়েকজন কর্মী জড়িত থাকতে পারেন। সেই সন্দেহে দীপককে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর সঙ্গে মনোজ এবং সমরেশ বিশ্বাসের যোগাযোগের প্রমাণ পান গোয়েন্দারা। কলকাতার পঞ্চসায়রের পোস্ট অফিসে অস্থায়ী কর্মী ছিলেন দীপক।