• সাগরে আইসিইউ-অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা, পুণ্যার্থীদের জন্য আর কী ব্যবস্থা? জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
    এই সময় | ০৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • রাত পোহালেই গঙ্গাসাগর মেলা শুরু। মেলার প্রস্তুতির তদারকির জন্য সোমবার সেখানে গিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার গঙ্গাসাগরে দাঁড়িয়ে মেলার প্রস্তুতি সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় জানান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। পাশাপাশি সাগর এলাকার জন্য এ দিন ১৬১ কোটি টাকার সরকারি প্রকল্প-কর্মসূচির শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। 

    গঙ্গাসাগর মেলার ক্ষেত্রে সুরক্ষাকে বারবার প্রাধান্য দেওয়ার কথা শোনা গিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কণ্ঠে। পুণ্যার্থীদের জন্য পরিবহণ পরিষেবার বিস্তারিত তথ্য তিনি দেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘মেলায় আগত পুণ্যার্থীদের জন্য ২২৫০টি সরকারি বাস, ২৫০টি বেসরকারি বাস, ৯টি বার্জ, ৩২টি ভেসেল, ১০০টি লঞ্চ, ২১টি জেটি ব্যবহার করা হবে। বার্জ, ভেসেল লঞ্চে জিপিএস এবং স্যাটেলাইট ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে।’

    যে কোনও ধরনের  দুর্ঘটনা ঠেকাতে বা কোনও দুর্ঘটনা ঘটে গেলে পরিস্থিতি সামাল দিতে ২৫০০ জন সিভিল ডিফেন্স ও অন্যান্য ভলান্টিয়ার নিয়োগ করা হচ্ছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। আপদকালীন পরিস্থিতিতে চিকিৎসার জন্য সাগরের আশেপাশের হাসপাতালগুলিতে শুধু মেলার জন্য ৫১৫টি বেডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ICU-র ব্যবস্থা থাকবে বলেও জানান তিনি। থাকবেন পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স এবং প্যারামেডিক্সও। পাশাপাশি গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষ্যে ১০০টি অ্যাম্বুল্যান্স, ৪টি ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্স, ১টি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সেরও ব্যবস্থা করা হবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। 

    মেলার আয়োজন, পুণ্যার্থীদের সুবিধা-অসুবিধা-সহ সমস্ত বিষয় দেখার জন্য ১০ জন মন্ত্রীকে দায়িত্ব দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের মধ্যে কয়েকজন থাকবেন মেলা চত্বরে, বাকিরা আশেপাশের এলাকায় থাকবেন। মেলাকে প্লাস্টিক মুক্ত রাখার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ব্যবস্থা করা হয়েছে বিশেষ পরিবেশ বান্ধব ব্যাগেরও। প্রসঙ্গত, ৮ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত গঙ্গাসাগর মেলা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। পুণ্যস্নানের সময় ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৫৮ মিনিট থেকে ১৫ জানুয়ারি বুধবার সকাল ৬টা ৫৮ মিনিট। এই মেলার জন্য কোনও অর্থ বরাদ্দ করে না  কেন্দ্র, তা নিয়ে মঙ্গলবারও সরব হন।

  • Link to this news (এই সময়)