জাল সার্টিফিকেট তৈরি চক্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে হুগলির খানাকুল থেকে ভাস্কর সামন্ত নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। এই নিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫। ভাস্করকে সোমবার হুগলি থেকে গ্রেপ্তার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভুয়ো ওয়েবসাইট তৈরি করে জাল জন্ম সার্টিফিকেট তৈরি করত এই চক্র। আর তা আদানপ্রদানের জন্য বিপুল টাকার লেনদেন হতো।
কয়েক মাস আগে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছিলেন বর্ধমান থানা এলাকার বাসিন্দা রিঙ্কা দাস। আবেদনের জন্য তিনি জন্মের শংসাপত্র জমা দেন। তা বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া বলে উল্লেখ করেছিলেন আবেদনকারী রিঙ্কা। এরপর নিয়ম মোতাবেক আবেদনটির সত্যতা যাচাই করার জন্য পাঠানো হয় বর্ধমান জেলা গোয়েন্দা দপ্তরে।
গোয়েন্দা দপ্তর থেকে রিঙ্কাকে অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। তিনি সমস্ত নথি নিয়ে গোয়েন্দা দপ্তরে হাজিরও হয়েছিলেন।
যদিও বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, ওই আবেদনকারীর জন্ম শংসাপত্রটি জাল। এরপরই গোয়েন্দা দপ্তরের তরফে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছর ১৯ ডিসেম্বর রিঙ্কাকে গ্রেপ্তার করে বর্ধমান থানার পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ওই শংসাপত্রটি তাঁকে জোগাড় করে দিয়েছে স্বরূপ রায় নামে এক ব্যক্তি। এরপরই তদন্তে নেমে পুলিশ স্বরূপ রায় ওরফে রামু-কে গ্রেপ্তার করে। সেই স্বরূপ রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ হুগলির বাসিন্দা আরও দু’জনের হদিশ পায়। এ বার নতুন করে ভাস্করের নাম সামনে এল। কে বা কারা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত? কী ভাবে চলত এই নেটওয়ার্ক? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।