• নদী-বাঁধ নির্মাণে বেনিয়ম, খতিয়ে দেখলেন সেচকর্তারা
    এই সময় | ০৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, ধূপগুড়ি: ধূপগুড়ি ব্লকের মাগুরমারি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জলঢাকা নদীর বাঁধ তৈরি নিয়ে বেনিয়মের অভিযোগ ও আন্দোলনকারীদের উপর হামলার খবর প্রকাশিত হয়েছিল ‘এই সময়’ পত্রিকায়। নিম্নমানের কাজের অভিযোগ তুলে প্রশাসনের দ্বারস্থ হওয়ায় হামলার মুখে পড়তে হয়েছিল ভূমি রক্ষা কমিটির সদস্যদের। এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই নড়েচড়ে বসল প্রশাসন।

    সোমবার বাঁধ তৈরির কাজের গুণগতমান খতিয়ে দেখতে হাজির হন সেচ দপ্তরের জলপাইগুড়ি মহকুমা সেচ আধিকারিক গৌরব ভৌমিক, এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দেবব্রত দত্ত। এর আগে বাঁধ নির্মাণে ছোট সাইজের পাথর বাদ দিতে ঠিকাদারি সংস্থাকে চিঠি দিয়েছিল সেচ দপ্তর। সেই চিঠি পাওয়ার পরেও ছোট সাইজের পাথর ব্যবহার বন্ধ করেনি ঠিকাদারি সংস্থা বলে অভিযোগ।

    দিনে না হলেও রাতে ছোট পাথর ব্যবহার করতে থাকে ঠিকাদারি সংস্থা। বিষয়টি সেচ দপ্তরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে লিখিত অভিযোগ জানান ভূমি রক্ষা কমিটির সদস্যরা। তারপরই হামলার মুখে পড়েন তাঁরা। সেই খবর প্রকাশের পরেই এ দিন ধূপগুড়ি ব্লকের মাগুরমাড়ি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের জলঢাকা নদীর পাড়ে জাকইকোনা, দক্ষিণ আলতা গ্রাম এবং ময়নাতলি এলাকার বাঁধের কাজ খতিয়ে দেখতে আসেন সেচ আধিকারিকরা।

    ভূমি রক্ষা কমিটির সদস্য মমিনুর ইসলাম বলেন, ‘এলাকায় সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা এসেছিলেন। জলে নেমে বাঁধের পাথর পরীক্ষা করে দেখেছেন। ছোট পাথরগুলো এক জায়গায় জড়ো করার নির্দেশ দিয়েছেন। নতুন করে বড় পাথর দিয়ে বাঁধ তৈরির নির্দেশ দেন। পুলিশ এলাকায় টহল দিচ্ছে। আমরা কিছুটা আতঙ্কমুক্ত।’

    সেচ আধিকারিক গৌরব ভৌমিক বলেন, ‘আমরা বাঁধের কাজ পরিদর্শন করেছি। ঠিকাদারি সংস্থাকে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে ছোট মাপের পাথর বাতিল করতে হবে। নির্দেশ না মানলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।’

  • Link to this news (এই সময়)