আবারও বীরভূম থেকে উদ্ধার বিপুল সংখ্যক জিলেটিন স্টিক, ডিটোনেটর। বিস্ফোরক পাচারের খবর গোপন সূত্রে পেয়ে জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ অভিযান চালায়। হস্তিকন্দা মোড়ে পরিত্যক্ত একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ওই বিস্ফোরক। জেলা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ সূত্রে খবর, ২০ হাজার জিলেটিন স্টিকের পাশাপাশি প্রচুর ডেটোনেটর পাওয়া গিয়েছে ওই পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে।
এই প্রথম বার নয়, এর আগেও বীরভূমের মহম্মদবাজার, নলহাটি, রামপুরহাট-সহ একাধিক জায়গা থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। হস্তিকন্দার জঙ্গল থেকেই ২০২১ সালে প্রায় ২ হাজার জিলেটিন স্টিক উদ্ধার হয়। ২০২৪ সালেও হস্তিকন্দার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে বিপুল সংখ্যক জিলেটিন স্টিক উদ্ধার হয়েছিল।
২০২২ সালে মহম্মদবাজারে তল্লাশি চালিয়ে একটি গাড়ি থেকে ৮১ হাজার ডিটোনেটর, প্রচুর জিলেটিন স্টিক ও অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট উদ্ধার হয়। বিপুল এই বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় তদন্তভার যায় ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ-এর হাতে।
ফের মঙ্গলবার সকালে রামপুরহাট থেকে এই বিস্ফোরক উদ্ধার হলো। বড়সড় কোনও নাশকতার জন্য বিস্ফোরক মজুত করা হয়েছিল নাকি অন্য কোনও ছক ছিল, খতিয়ে দেখছে বীরভূম জেলা পুলিশ। এই ঘটনায় কাউকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে পুলিশ সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ড থেকে এই বিস্ফোরক এসেছিল বলে জানতে পেরেছে তারা।
প্রসঙ্গত, বীরভূমের অনেক জায়গায় পাথর খাদানও রয়েছে। সেখানে বিস্ফোরণ ঘটাতে জিলেটিন স্টিক ব্যবহার করা হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। অবৈধ ভাবে পাথর কাটার ক্ষেত্রে এই বিস্ফোরণ ঘটানোরও অভিযোগ ওঠে বিভিন্ন সময়ে। গোটা ঘটনার তদন্তে পুলিশ।