৪৮ ঘণ্টা পার, এখনও নিখোঁজ ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী, মুর্শিদাবাদে ফিডার ক্যানেলে তল্লাশি শুরু ডুবুরিদের ...
আজকাল | ০৭ জানুয়ারি ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৪৮ ঘণ্টার বেশি পার হয়ে গেলেও এখনও খোঁজ মেলেনি মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে মুর্শিদাবাদে এসে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর। নিখোঁজ ওই ছাত্রীর সন্ধানে মঙ্গলবার সকাল থেকে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা থানার ফিডার ক্যানেলে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে স্থানীয় পুলিশের তরফ থেকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার বাসিন্দা দীপ্তি ভকত নামে বছর কুড়ির এক ছাত্রী রবিবার মালদহে নিজের বাড়ি থেকে ঝাড়খণ্ডের দুমকায় যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। সেখানে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়েন দীপ্তি। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে ট্রেনে চেপে বসার পরও ওই ছাত্রী নিজের কলেজে যাননি। রবিবার দুপুর নাগাদ মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা এনটিপিসি ফাঁড়ির পুলিশ পরিত্যক্ত অবস্থায় দীপ্তির মোবাইল ফোন এবং ব্যাগ উদ্ধার করে। ব্যাগের মধ্যে ১৩০০ টাকা ছাড়াও তাঁর কলেজ পরিচয় পত্র, ওড়না, খুচরো কিছু পয়সা এবং কিছু নথি ছিল। এরপরই এনটিপিসি ফাঁড়ির পুলিশ দীপ্তির মোবাইল ফোনে থাকা নম্বরের সূত্র ধরে তাঁর পরিবারের সঙ্গে হরিশ্চন্দ্রপুরে যোগাযোগ করে। তখনই পুলিশ জানতে পারে ওই ছাত্রীর দুমকাতে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে যাওয়ার কথা ছিল এবং মালদহ থেকে ট্রেনেও চেপেছিলেন। কিন্তু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সেখানে না গিয়ে দীপ্তি ফরাক্কা চলে আসেন। রবিবারই দীপ্তির পরিবার হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে ফরাক্কায় এসে তাঁর মোবাইল ফোন, ব্যাগ এবং অন্যান্য জিনিসপত্র ফিরিয়ে নিয়ে যায় এবং সেদিনই তাঁরা হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করে।
ফরাক্কা থানার একাধিক জানান, দীপ্তির যে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হয়েছে তাতে একটি সন্দেহজনক হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ রয়েছে। ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে তৈরি হওয়া একটি গ্রুপে তিনি রবিবার আত্মহত্যার ইঙ্গিত দিয়ে একটি মেসেজ পোস্ট করেন। ওই মেসেজ করার পর থেকেই দীপ্তির আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
পুলিশ সূত্রের খবর, দীপ্তির পরিবার তাঁকে ভিন রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্তি করে দিলেও ওই ছাত্রী সেখানে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক ছিলেন না। সম্ভবত পরিবার একপ্রকার জোর করেই তাঁকে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে যেতে বাধ্য করছিল। পুলিশের অনুমান, নিজের যাবতীয় জিনিসপত্র ফরাক্কায় রেখে মানসিক চাপে ওই ছাত্রী সম্ভবত আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।