• তদন্ত শেষ না করেই লটারি কিং মামলায় ক্লোজার রিপোর্ট কলকাতা পুলিশের, আদালতে ED
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • লটারি কিং সান্তিয়াগো মার্টিন এবং তাঁর কোম্পানির বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যে এফআইআর রয়েছে। যার মধ্যে কলকাতা পুলিশেও দুটি এফআইআর রয়েছে লটারি কিং এবং তাঁর কোম্পানির বিরুদ্ধে। তবে সম্প্রতি কলকাতা পুলিশ দুটি এফআইআরের ক্ষেত্রে ক্লোজার রিপোর্ট দাখিল করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে এবার আদালতের দ্বারস্থ হল ইডি। তাদের বক্তব্য, তদন্ত শেষ না করেই কলকাতা পুলিশ লটারি কিং এবং তাঁর কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্লোজার রিপোর্ট দাখিল করেছে। 


    জানা যাচ্ছে, কলকাতায় দুটি এফআইআর বন্ধের ক্ষেত্রে ইডি আলিপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ধারার অধীনে ইডি কলকাতা পুলিশকে যে তথ্য দিয়েছে তা মানা হয়নি। ইডি আবেদনে কলকাতা পুলিশের ক্লোজার রিপোর্ট বাতিল করার আর্জি জানিয়েছে। উল্লেখ্য, ইডি ইতিমধ্যে এই মামলায় ১০০০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে। ইডি দাবি করেছে, তারা কলকাতা পুলিশকে জালিয়াতি এবং অর্থ তছরুপের তথ্য এবং প্রমাণ দিয়েছে। কিন্তু তারা এবিষয়ে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি"।

    তদন্তের সময়, ইডি-র কলকাতা ইউনিট মার্টিন এবং তাঁর কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত ৪০৯ কোটি টাকার সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে। পরে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ইডি কলকাতার বিশেষ পিএমএলএ আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে একটি চার্জশিটও দাখিল করে। অন্যদিকে, ইডি-এর কেরল ইউনিট ৬২২ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে।

    উল্লেখ্য, অপরাধের প্রমাণ না পেলে সেক্ষেত্রে তদন্ত বন্ধ করতে পারে পুলিশ। যেমনটা তামিলনাড়ুতে হয়েছিল। সেখানেও মার্টিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তবে ইডি মাদ্রাজ হাইকোর্টে যাওয়ার পরেই তামিলনাড়ুতে তদন্ত আবার শুরু হয়েছিল। গত বছরের অক্টোবরে একটি রায়ে রাজ্য পুলিশকে এফআইআর পুনরায় চালু করতে বলেছিল হাইকোর্ট। কারণ মার্টিন এবং তাঁর কোম্পানি ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যথেষ্ট প্রমাণ পায় আদালত।

    ইডি তদন্তে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ ছাড়াও কোয়েম্বাটোর, চেন্নাই, মুম্বই, দুবাই এবং লন্ডনে মার্টিনের সম্পত্তি খুঁজে পেয়েছে। এছাড়া ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলিকে ১,৩৬৮ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে মার্টিনস ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)