• কলকাতা মেট্রোতে ব্যাপক হারে টোকেন চুরির অভিযোগ, লোকসান রুখতে কিউআর কোড ভরসা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • ব্যাপক লোকসান শুরু হয়েছে কলকাতা মেট্রোতে বলে অভিযোগ। মেট্রোতে সফর করার সময় যাত্রীরা যে টোকেন অর্থ দিয়ে সংগ্রহ করছেন সেগুলি আর ফিরে আসছে না। অথচ যাত্রীরা সফর শেষ করে স্টেশন থেকে বেরিয়েও যাচ্ছেন। এই টোকেন তৈরি করতে একটা ভাল খরচ হয়। সেখানে তা ফেরত না এলে লোকসানের বহর বাড়তে থাকে বৈকি। সেটাই হচ্ছে বলে চিহ্নিত করা হয়েছে টোকেন চুরির ঘটনা বলে অভিযোগ। ২০১০ সালে এই টোকেন ব্যবস্থা চালু হয়। এখন এই টোকেন তুলে দিতে চাইছে মেট্রো রেল। কারণ মেট্রো সূত্রে খবর, গত ১৪ বছরে প্রায় ৫৩ লক্ষের বেশি টোকেন তৈরি হয়েছিল। কিন্তু বাস্তব ছবিটা হল, তার মধ্যে প্রায় ৩১ লক্ষ টোকেন খোয়া গিয়েছে।

    এত টোকেন খোয়া যাওয়ার মানে বিপুল পরিমাণ টাকা লোকসান হয়েছে। যাত্রীরা এই টোকেন নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছেন বলে মেট্রো কর্তৃপক্ষের অভিযোগ। আবার অনেক যাত্রী প্রথম মেট্রো চড়ার স্মৃতি আগলে রাখতে টোকেন নিজের সংগ্রহে রেখে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। তাই মেট্রোর ভাঁড়ারে এখন টোকেন ‘কমছে’ বলে অভিযোগ। যার জেরে লোকসান বাড়ছে। এই একটি টোকেন তৈরি করতে খরচ পড়ে প্রায় ৪৫ টাকা। তাহলে ৩১ লক্ষ টোকেন অমিল হলে টাকার অঙ্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছে তা টের পাচ্ছে কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনাই মেট্রোর রাজকোষে প্রভাব ফেলছে। তাই বিকল্প পথ হিসেবে কবি সুভাষ–দক্ষিণেশ্বর রুটে কিউআর কোড ছাপা কাগজের টিকিট চালু করা হয়েছে।


    এখন এই রুটে কিউআর কোড বেশি ব্যবহার হচ্ছে। মেট্রো যাত্রীদের অভিযোগ, এই নয়া ব্যবস্থা কার্যকর হলেও মেট্রোর রেল কর্তৃপক্ষ সেটা প্রচার করেনি। তাই বহু যাত্রী সমস্যায় পড়ছেন। এখন হাওড়া থেকে সহজেই কলকাতায় আসা যায়। তাই যাত্রীরা মাঝপথে নেমে কোথাও ঘুরতে গেলে এবং ফিরলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তাঁদের কাছে নতুন হওয়ায় নানা জটিলতা তৈরি হচ্ছে। টোকেন নিয়ে স্মার্ট গেটের বিশেষ স্থানে ঠেকালেই গেট খুলে যায়। যাত্রীরা প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার ছাড়পত্র পান। সফর শেষে সেই টোকেন আবার স্মার্ট গেটে ফেললে গেট খুলে যায়। কিন্তু এখানেই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। টোকেন অনেকে ফেলছেন না বলে অভিযোগ।

    কিন্তু টোকেন না ফেলে যাত্রী বেরিয়ে কেমন করে যাচ্ছে?‌ এই প্রশ্ন এখন ভাবিয়ে তুলেছে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে। টোকেন মূল্য যদি কম হয় তাহলে গেট খুলবে না। আবার টোকেন না দিলেও গেট খুলবে না। তাহলে রহস্য কোথায় লুকিয়ে আছে?‌ সেটা খোঁজার পাশাপাশি কিউআর কোড ভিত্তিক কাগজের টিকিট চালু করা হয়েছে। তাতে অনেকটা লোকসান কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। এটাতে যাত্রীরা সড়গড় হয়ে গেলে বাকি রুটগুলিতেও তা কার্যকর করে দেওয়া হবে। টোকেন পুরোপুরি তুলে দেওয়া হবে কিনা সেটা অবশ্য জানা যায়নি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)