• রাতারাতি বদলে গেল জীবন, বহরমপুরের ভ্যান চালক এখন কোটিপতি
    এই সময় | ০৭ জানুয়ারি ২০২৫
  • লটারির টিকিট কেটে রাতারাতি ‘কোটিপতি’ বহরমপুরের ভ্যান চালক ওয়াদ আলি শেখ। প্রায় ১৯-২০ বছর ধরে লটারির টিকিট কাটেন ওয়াদ। টিকিট কাটা রীতিমতো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে তাঁর। না জিতলেও বছরের পর বছর লটারির টিকিট কেটে গিয়েছেন। অবশেষে ছিঁড়ল ভাগ্যের শিঁকে। ৩০ টাকা দিয়ে লটারির টিকিট কেটেছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় খেলার ফল ঘোষণা হতেই জানতে পারেন, সর্বোচ্চ পুরস্কার তিনিই জিতেছেন এবং তা ১ কোটি টাকা। টাকা জিততেই ওয়াদের ইচ্ছা, ছেলের জন্য একটা জমি কিনবেন।

    মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার সিজগ্রামের ওয়াদ আলি শেখের স্ত্রী, এক মেয়ে, এক ছেলে। মেয়ে বিবাহিত, ছেলেরও বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছেলের চুলের ব্যবসা। চুলের বদলে থালা, বাটি দেন ক্রেতাকে। ওয়াদ আলি এক সময় শ্রমিকের কাজ করতেন। এখন মোটর ভ্যান চালান। যেটুকু আয়, তাতে টেনেটুনে সংসার চলে।

    ওয়াদ জানান, এত বছর ধরে লটারির টিকিট কাটছেন, কোনও দিনই কিছু জেতেননি। সোমবার যখন খেলা হলো, ভাবেননি তাঁকেও লোকে ‘কোটিপতি’ বলবে। ভ্যানে সিমেন্ট নিয়ে যান ওয়াদ। এ বার তাঁর ইচ্ছা, ‘১ কাঠাও জায়গা নেই, এই টাকায় কিছু জমি কিনতে চাই। বাড়িটাও একটু ঠিকঠাক করব।’

    বিয়ের পর থেকে আঙ্গুরা বিবি দেখছেন, স্বামী নিয়মিত লটারির টিকিট কাটেন। টাকা পয়সা পান না, কিন্তু লটারির টিকিট কাটা যেন তাঁর নেশা। স্বামীকে কোনও দিন এ নিয়ে কিছু বলেননি। তবে মনে মনে চেয়েছিলেন, একবার কিছু জিতুক। তা হলে অন্তত মনে হবে না, টাকাগুলো জলে গেলো।

    সোমবার সন্ধ্যায় যখন জানতে পারলেন, এখন থেকে আঙ্গুরা ‘কোটিপতি’র স্ত্রী, বুঝেই উঠতে পারছিলেন না কী করবেন। পরে স্বামী-স্ত্রী মিলে ঠিক করেছেন, ছেলেকে জমি কিনে দেবেন আর মেয়েকে কিছু নগদ টাকা দেবেন। বাকিটা তাঁরা সংসারের কাজে ব্যয় করবেন।

  • Link to this news (এই সময়)