'ঠিকই তো বলেছেন', কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার প্রসঙ্গে প্রদীপের সঙ্গে একমত মমতা
আজ তক | ০৮ জানুয়ারি ২০২৫
দু'দিন আগে তাঁকে নিয়ে করা কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের মন্তব্যে সহমত পোষণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতাকে বহিষ্কারের প্রায়শ্চিত্ত কংগ্রেস আজও করছে, বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কংগ্রেসের এই প্রবীণ নেতা। এই প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষও বলেছিলেন, কংগ্রেস সেই ধাক্কা আজও সামলাতে পারেনি।
এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার তৃণমূল সুপ্রিমো তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “উনি ঠিক কথা বলেছেন।” যদিও প্রবীণ কংগ্রেস নেতা নিজের মন্তব্যে এখনও অনড়। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, সেদিন যা ঘটেছিল, তার ব্যাখ্যা দিয়েছি। ব্যাখ্যার মধ্যে সত্যতা আছে। যেটা আমি নিজের চোখে দেখেছি, আমি সেটাই কর্মীদের বলেছি। আজ এটাকে যারা সমর্থন করছেন, তারা করতে পারেন। যারা সমর্থন করছেন না তারা নাও করতে পারেন। এটা তাদের অভিপ্রায়৷ যদিও আমাকে এটা নিয়ে দলের অভ্যন্তরে কোনও প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়নি৷"
প্রসঙ্গত, শনিবার কলকাতার সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারে কংগ্রেসের দলীয় দফতরের কাছেই সোমেন মিত্রর মূর্তির উন্মোচন হয়। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রদীপ ভট্টাচার্য। বলেন, 'যেদিন বাংলার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে বহিষ্কার করা হয়, সেদিন আমি শ্রীরামপুর থেকে ফিরছিলাম। শ্রীরামপুরের সাংসদ ছিলাম। আমি সেকেন্ড ব্রিজের কাছে যখন সোমেন মিত্রর ফোন এসেছিল, ওঁকে সীতারাম কেশরী বলেছিলেন মমতাকে বহিষ্কার করতে। সীতারাম বলেছিলেন, ইউ হ্যাভ টু ডু ইট৷ ওকে তোমাকে এক্সপেল করতে হবে, কারণ আমরা ওকে করেছি৷ আমি সোমেনকে বলেছিলাম তুমি মমতাকে বহিষ্কার কোরো না। কিছুতেই কোরো না। আমি বারণ করেছিলাম। কিন্তু সোমেনের ওপরে এমন চাপ তৈরি হয়েছিল যে মমতাকে বহিষ্কার করতে তিনি বাধ্য হন। আজ প্রায়শ্চিত্ত করছি সেই জন্য, কংগ্রেস দলকে আজও প্রায়শ্চিত্ত করতে হচ্ছে। জানি না এই খাদ থেকে কখন-কীভাবে উঠে আসব।'
তিনি আরও দাবি করেছিলেন, মমতাকে বহিষ্কারের জন্য দিল্লি থেকে প্রদেশ কংগ্রেসের ওপরে চাপ তৈরি হয়েছিল সেই সময়। আকস্মিক প্রদীপের এই মন্তব্য কীসের ইঙ্গিত? জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।