ব়্যাঙ্কিংয়ের জন্য ৭৫% শিক্ষক থাকতেই হবে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে, গাইডলাইন UGC-র
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৮ জানুয়ারি ২০২৫
দেশের বহু স্কুল এবং উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের অভাব দেখা দিচ্ছে। ইউজিসির নির্দিষ্ট করে দেওয়া ছাত্র শিক্ষক অনুপাত মানা হচ্ছে না একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজে। এই অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন একটি গাইডলাইন প্রকাশ করেছে, তাতে ছাত্র শিক্ষক অনুপাত এবং শিক্ষকের শূন্যপদের পদের উপর ভিত্তি করে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ব়্যাঙ্কিংয়ের কথা জানানো হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই গাইডলাইন চূড়ান্ত হয়নি। আপাতত কিছুদিন সাধারণের মতামত নেওয়া হবে। তারপরে চূড়ান্ত হবে।
এই গাইডলাইনে বলা রয়েছে, কোনও কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের পদ ৭৫ শতাংশ পূর্ণ রয়েছে কিনা তা দেখা হবে। তাছাড়া, ইউজিসির নির্দিষ্ট করে দেওয়া ছাত্র শিক্ষক অনুপাত ঠিক রয়েছে কিনা তাও দেখা হবে। তার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট নম্বর দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়কে। আর এই নম্বরের উপর ভিত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের ব়্যাঙ্কিং করা হবে।
উল্লেখ্য, ইউজিসির নিয়ম অনুযায়ী, ২০ থেকে ২৫ জন পড়ুয়া পিছু একজন শিক্ষক থাকতে হবে। তবে দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজগুলি সেই শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ। এছাড়াও, জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট করে দেওয়া ৭৫ শতাংশ পদে অস্থায়ী বা অতিথি অধ্যাপকদের ধরা যাবে না। অর্থাৎ এই ৭৫ শতাংশ পদে থাকতে হবে স্থায়ী অধ্যাপক।
যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী অধ্যাপক বা অতিথি অধ্যাপকদের দিয়ে পরিস্থিতি সমাল দেওয়া হয়।কলকাতার বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেমন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে শিক্ষকের ৪০ শতাংশ পদ শূন্য রয়েছে। সেখানে অতিথি অধ্যাপকদের উপরেই ভরসা করতে হয় বিশ্ববিদ্যালয়কে। আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ শূন্য পদ রয়েছে। এই পদে স্থায়ী শিক্ষক নেই। এই অবস্থায় স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানিয়েছে সংগঠনগুলি। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি জুটার বক্তব্য, এ বিষয়ে সদিচ্ছার অভাব রয়েছে সরকারের। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বক্তব্য, প্রতিষ্ঠান ঠিক মতো চালাতে গেলে শিক্ষক নিয়োগ খুবই অত্যন্ত জরুরি। নইলে পঠনপাঠনে পড়ুয়ারা পিছিয়ে যায়। এরকম হলে পড়ুয়াদের উপকার হবে। আবার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০ শতাংশের উপরে শিক্ষকপদ ফাঁকা রয়েছে বলে দাবি শিক্ষক সংগঠন কুটার।