• জমি বিবাদ নিয়ে সংঘর্ষে জখম ১০
    বর্তমান | ০৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, লালবাগ: মঙ্গলবার সকালে পুরনো বিবাদ ঘিরে ভগবানগোলা থানার বড়বড়িয়ায় দুই পড়শি পরিবারের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১০জন জখম হলেন। এর মধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কানাপুকুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে আসে। সংঘর্ষের জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ভগবানগোলা থানার পুলিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্তে নামে। পুলিসের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে সংঘর্ষের ঘটনায় কেউ আটক বা গ্রেপ্তার হয়নি।


    জমি-সংক্রান্ত বিষয়কে ঘিরে বড়বড়িয়ার ঘোষপাড়ার বাসিন্দা রঞ্জিত ঘোষের পরিবারের সঙ্গে পড়শি রিন্টু ঘোষের পরিবারের কয়েকমাস ধরে বিবাদ চলছে। গত শুক্রবার রিন্টু ঘোষ জমিতে কাজ করছিলেন। অভিযোগ, সেসময় রঞ্জিত ঘোষের পরিবারের লোকজন বাঁশ ও লাঠি দিয়ে তাঁকে বেধড়ক মারধর করে। জখম রিন্টুবাবুকে প্রথমে কানাপুকুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও পরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার তিনি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরেন।


    এদিন সকালে ফের দুই পরিবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ইট, লাঠি, বাঁশ নিয়ে পরস্পরের উপর হামলা চালায়। রিন্টু ঘোষের মা সুচিত্রা ঘোষ বলেন, সকালে আচমকাই রঞ্জিতের পরিবারের লোকজন বাড়িতে চড়াও হয়ে মারধর করে। বাঁশের আঘাতে আমার মেয়ের মাথা ফেটে যায়। ওরা ঘরে ঢুকে লুটপাট চালায়। বাড়ির মেয়েদের সোনার হার, কানের দুল প্রভৃতি ছিনিয়ে নিয়েছে। রিন্টু ঘোষ বলেন, শুক্রবার জমিতে কাজ করছিলাম। সেসময় আমাকে একা পেয়ে ওঁরা বেধড়ক মারধর করে। আমাকে খুন করার পরিকল্পনা ছিল।


    রঞ্জিত ঘোষের ছেলে গাজল ঘোষ বলেন, নাটক করে হাসপাতালে ভর্তি ছিল। বাড়ি ফিরেই আবার গণ্ডগোল পাকাল। এদিন সকালে আমার দুই মেয়ে ওদের বাড়ির পাশ দিয়ে টিউশন যাচ্ছিল। তখন ওরা মেয়েদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। প্রতিবাদ করতেই ছোট মেয়েকে চুলের মুঠি ধরে মারধর করে। খবর পেয়ে আমি সেখানে গেলে আমাকে বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারে। আমার বোন বাঁচাতে এলে তাকেও মারধর করা হয়। আগেই আমাদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করেছে। তাই বাড়িতে থাকতে পারছি না। ভগবানগোলা থানার এক আধিকারিক বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় কেউ আটক বা গ্রেপ্তার হয়নি। ঘটনার তদন্ত চলছে।
  • Link to this news (বর্তমান)