• ভালো লাভ হওয়ায় সব্জি ছেড়ে গাঁদাফুল চাষে ঝোঁক কৃষকদের
    বর্তমান | ০৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বালুরঘাট:  গাঁদাফুল চাষ করে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছেন হিলির বিনশিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ইসমাইলপুর গ্রামের কৃষকরা। মূলত এই এলাকায় ধানের পাশাপাশি সব্জি চাষ করে থাকেন কৃষকরা। তবে বছর দুয়েক ধরে গাঁদা ফুল চাষ করতে শুরু করেছেন। সারাবছর গাঁদা ফুলের চাহিদা থাকলেও ভিনজেলার ফুল জেলার চাহিদা মিটিয়ে থাকে। তবে ইসমাইলপুর গ্রামে যেভাবে গাঁদাফুলের চাষ হতে শুরু করেছে তাতে আগামীতে জেলার কিছুটা হলেও চাহিদা মেটাবে বলে কৃষিদপ্তর মনে করছে। গাঁদা ফুলের চাষ বৃদ্ধি করতে কৃষিদপ্তরের তরফে সমস্ত ধরনের পরামর্শ দিয়ে কৃষকদের সাহায্য করা হচ্ছে।


    হিলি কৃষিদপ্তরের আধিকারিক আকাশ সাহা বলেন, হিলিতে আগে গাঁদাফুলের চাষ হতো না। তবে এখন ধীরে ধীরে চাষ হচ্ছে। হিলি, বিনশিরার কৃষকরা চাষ করে বেশ লাভজনক হচ্ছে। আগামীতে চাষ বৃদ্ধি করতে আমরা লক্ষ্য নিয়েছি। গাঁদা ফুল চাষে ভালো লাভ হওয়ায় চাষিরা উৎসাহ পাচ্ছেন।


    সব্জি চাষ ছেড়ে ইসমাইলপুরের কৃষক অভিজিৎ পাল এখন গাঁদা ফুলের চাষ করছেন। তাঁর কথায়, সারাবছর ফুল চাষ করছি। ভালো লাভ হচ্ছে। আমি দুই বিঘাতে ফুল চাষ করছি।


    কৃষিদপ্তর বলছে, এক বিঘাতে ফুল চাষ করলে এক মরশুমে ৪০-৫০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। ওই পরিমাণ ফুল উৎপাদনের জন্য খরচ হয় মাত্র ১০ হাজার টাকা। চারা কৃষ্ণনগর থেকে নিয়ে আসায় খরচ বেশি বলে কৃষকদের দাবি। আগামীতে এখানেই ফুলের চারা তৈরির চিন্তা ভাবনা শুরু করেছেন চাষিরা। কৃষকদের জমি থেকে ফুল বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া গাঁদা ফুলের মালা গেঁথেও অনেক মহিলা নিজ নিজ সংসারের হাল ধরেছেন। খুচরা ও পাইকারি দরে অনেকেই সেই মালা বা ফুল বিক্রি করেন। অভিজিত্ বলেন, ২০ টাকা কেজি দরে গাঁদা ফুল বিক্রি হচ্ছে। দাম কম হলেও মানুষের কাছে এই ফুলের চাহিদা থাকায় গাঁদা চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা।
  • Link to this news (বর্তমান)