চতুর্থ শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় রাজ্যে নজর কাড়ল বড়ভিটা বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ
বর্তমান | ০৮ জানুয়ারি ২০২৫
রাজীব বর্মন, দেওয়ানহাট: ২০২৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন পর্ষদ পরিচালিত চতুর্থ শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় রাজ্যের মেধা তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে মাতালহাটের ত্রিদেবের বাজারের বড়ভিটা বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠের পড়ুয়ারা। যুগ্মভাবে সম্ভাব্য দ্বিতীয় হয়েছে দুই ছাত্রী। তাদের নাম প্রেরণা সেন ও ঈশিকা বর্মন। ৪০০’র মধ্যে এদের প্রাপ্ত নম্বর ৩৯১। সম্ভাব্য তৃতীয় হয়েছে অঙ্কিতা বর্মন। তার প্রাপ্ত নম্বর ৩৮৮। এছাড়াও ওই পরীক্ষায় আরও ১১ জন স্থান পেয়েছেন মেধা তালিকায়। স্কুলের এমন নজরকাড়া সাফল্যে খুশির হাওয়া স্কুল সহ গোটা এলাকায়। এছাড়াও রাজ্য স্তরের ট্যালেন্ট সার্চ-২০২৪ এর পরীক্ষায় ৮০ শতাংশের উপর নম্বর পেয়েছে স্কুলেরই ৪৪ জন পড়ুয়া।
২০০৯ সালে দিনহাটার প্রত্যন্ত গ্রাম মাতালহাটের ত্রিদেবের বাজারে স্কুলটির পথচলা শুরু হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই স্কুলের সুনাম ছড়িয়েছে গোটা দিনহাটায়। আধুনিক শিক্ষার পরিকাঠামো গড়ে গ্রামের শিশুদের মজবুত শিক্ষার ভিত তৈরির নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে মাতালহাটের বড়ভিটা বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ। প্রাক্ প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো এই বেসরকারি স্কুলটির নাম গ্রামের গণ্ডি ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা মহকুমায়। নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকেই আবাসিক হস্টেল চালু হচ্ছে এই স্কুলে। পড়ুয়াদের জন্য রয়েছে স্মার্ট ক্লাস রুমের ব্যবস্থা। গ্রামের শিশুদের মধ্যে গ্রাম্যভাব দূর করতে আধুনিক শিক্ষার উপকরণ হিসেবে মডেল ক্লাসের ব্যবস্থাও রয়েছে। পড়াশোনার পাশাপাশি এই স্কুলের শিশুদের জন্য নাচ, গান, অঙ্কন, ক্যারাটে, কম্পিউটার, আবৃত্তি, শারীরশিক্ষা, কর্মশিক্ষা সহ হিন্দি ও ইংরেজিতে কথা বালার মতো ক্লাসের ব্যবস্থা রয়েছে।
মেধা তালিকায় সম্ভাব্য তৃতীয় হয়েছে অঙ্কিতা। ওই ছাত্রীর বাবা কৃষ্ণকান্ত বর্মন বলেন, মেয়ের ভালো ফল হওয়ায় আমরা খুশি। প্রত্যন্ত গ্রামের মধ্যে গড়ে ওঠা বড়ভিটা বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ এলাকায় শিক্ষার মানোন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
স্কুলের প্রিন্সিপাল সোনামণি রায় বর্মন, আমাদের স্কুলটি গ্রামীণ এলাকায় হলেও পড়াশোনার দিক থেকে শহরের স্কুলগুলিকে টেক্কা দেয়। স্কুলে শিশুদের স্মার্ট ক্লাস রুমে পড়ানো হয়। পাশাপাশি শিশুদের মানসিক বিকাশের জন্য সবরকম ব্যবস্থাই আমরা করেছি। পড়ুয়াদের এমন সাফল্যে যাতে ধারবাহিকতা থাকে সেই চেষ্টা আমরা চালিয়ে যাব।
স্কুলের ডিরেক্টর বিষ্ণু বর্মন বলেন, আমাদের স্কুল থেকে ২০২৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন পর্ষদ পরিচালিত চতুর্থ শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় ভালো ফল করেছে ছাত্রছাত্রীরা। ওই পরীক্ষায় রাজ্যের মেধা তালিকায় মোট ১৪ জন ছাত্রছাত্রী স্থান পেয়েছে। দ্বিতীয় হয়েছে প্রেরণা সেন ও ঈশিকা বর্মন। তৃতীয় হয়েছে অঙ্কিতা বর্মন। নিজস্ব চিত্র।