• ৩ টাকা কেজি ফুলকপি, খেতে ছাগল ঢুকিয়ে খাইয়ে দিচ্ছেন চাষিরা
    বর্তমান | ০৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • সংবাদদাতা, হলদিবাড়ি: গত দুই সপ্তাহের ধরে হলদিবাড়িতে ফুলকপির দাম তলানিতে। হলদিবাড়ি পাইকারি বাজারে ফুলকপি ৩-৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে উৎপাদন খরচ মেলা তো দূরের কথা ভ্যানরিকশ করে খেতের সব্জি বাজারে আনার পয়সাও মিলছে না। বাধ্য হয়ে চাষিরা জমি থেকে ফুলকপি তোলা বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে জমিতে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে কপি। আবার কেউ কেউ গোরু ও ছাগল এনে খেতে ছেড়ে দিচ্ছেন। 


    হলদিবাড়ির ফুলকপি চাষি বাবলু হক বলেন, দুই বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছি। প্রায় ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রথমদিকে কিছুটা লাভের মুখ দেখলেও এখন আর দাম পাচ্ছি না। তিন টাকা কেজি দরেও পাইকাররা নিচ্ছেন না। অথচ দুই সপ্তাহের আগেও হলদিবাড়ি বাজারে ৩৫ টাকা কেজি দরে ফুলকপি বিক্রি হয়েছিল। এখন যা অবস্থা তাতে চাষের উৎপাদন খরচ তো পরের কথা, ভ্যানরিকশয় করে বাজারে কপি নিয়ে যাওয়ারও খরচ উঠেছে না। তাই জমি থেকে কপি তোলা বন্ধ করে দিয়েছি। বাড়ির ছাগলকে খেতে ছেড়ে আসছি। 


    আরএক চাষি মহম্মদ আব্দুল রহিম সরকার বলেন, ফুলকপির দাম এমন জায়গায় পৌঁছবে ভাবতেই পারিনি। পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে তাতে পাইকারি বাজারে দাম আরও নামবে। তাই কপি খেতে গবাদিপশু বেঁধে রাখছি। 


    কৃষিবলয় হিসেবে পরিচিত হলদিবাড়ি। ব্লকের ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষিজীবী। এলাকার প্রধান অর্থকরী ফসল টম্যাটো এবং কাঁচালঙ্কা। তবে আলু, ফুলকপি, বাঁধাকপি সহ অন্যান্য সব্জি পর্যাপ্ত পরিমাণে চাষ হয়। মোটামুটি ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে এবারও ফুলকপি খেত থেকে উঠতে শুরু করেছে। মার্চ মাস পর্যন্ত কপি পাওয়া যাবে। কিন্তু জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই বাজারে যা দাম, তাতে লোকসানের বহর বাড়বে চাষিদের।
  • Link to this news (বর্তমান)