অনুমতি ছাড়া অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া নয়, বিবেকানন্দ পার্কে নির্দেশিকা পুরসভার
বর্তমান | ০৮ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ইতিমধ্যেই সাদার্ন অ্যাভিনিউ অঞ্চলের বিবেকানন্দ পার্ক কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (কেএমডিএ) থেকে নিজেদের হাতে নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। পার্কের ভিতরে রয়েছে আটটি ক্লাব। যারা এতদিন সেখানে বিভিন্ন খেলার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি নিজেদের জায়গা নানা অনুষ্ঠানে ভাড়া দিত, তা ছিল নিয়মবিরুদ্ধ। তাই পুরসভা পার্কের ‘মালিক’ হওয়ার পর নির্দেশ দিয়েছে, অনুমতি ছাড়া পার্ক কোনও অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া দেওয়া যাবে না। এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা পার্কের গেটে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, ভিতরে যে ক্লাবগুলি রয়েছে, তারা চুক্তির বাইরে গিয়ে প্রায় সকলে বাড়তি জমি দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ। তাদের লাইসেন্স ফি’ও খুব বেশি নয়। এবার নতুন করে লাইসেন্সের পুনর্নবীকরণ করতে চায় পুরসভা। তাই কোন ক্লাব কত জমি নিয়ে রয়েছে, পার্কের ভিতর সরকারের কত জমি আছে, তা জানার জন্য সার্ভেয়ার বিভাগকে দিয়ে সমীক্ষা করাচ্ছে পুরসভা। তারপরই ক্লাবগুলির জমি সংক্রান্ত চুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। পুর আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, পার্কের ভিতরে ক্রিকেট সহ বিভিন্ন খেলার বেশ কয়েকটি কোচিং অ্যাকাডেমি, ক্লাব চলে। তাদের কাছে থাকা কাগজপত্র কতটা বৈধ, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। কে কত জমি নিয়ে কারবার চালাচ্ছে, তার কোনও তথ্য পুরসভার হাতে ছিল না। যার পরিপ্রেক্ষিতে পুরসভার হাতে পার্ক আসার পর উদ্যান বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বিভিন্ন ক্লাব কর্তৃপক্ষকে নিয়ে বৈঠক করেন। উদ্যান বিভাগের এক কর্তা বলেন, নথিপত্র অনেকেরই ঠিকঠাক নেই। কেএমডিএ’র সঙ্গে চুক্তির সময় পার্কের কোন অংশে কোন ক্লাবকে কত জমি দেওয়া হয়েছে, তার কোনও নির্দিষ্ট উল্লেখ পাওয়া যাচ্ছে না। যার সুযোগ নিয়ে প্রায় সবকটি ক্লাবই বাড়তি জমি নিয়ে বসে রয়েছে। ক্লাবগুলি আবার নানা অনুষ্ঠানের জন্য যে যার জায়গায় মাঠ ভাড়া দিয়ে দিচ্ছে। কিন্তু সরকারের ঘরে টাকা আসছে না। তাই এসব বন্ধ করতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে, সার্ভেয়ার বিভাগ জানিয়েছেন, আগে ১২ একর জমিতে এই পার্ক ছিল। তবে বর্তমানে বিভিন্ন ক্লাবকে ভাড়া দেওয়ার পাশাপাশি পুরসভার কমিউনিটি হল আছে, বুস্টার পাম্পিং স্টেশনও তৈরি হচ্ছে। তাই পার্কের ভিতরে পুরসভার হাতে বা বিভিন্ন ক্লাবের হাতে কোথায় কত জমি রয়েছে, তার সমীক্ষা করার কাজ চলছে। ক্লাবগুলির সঙ্গে যা চুক্তি হয়েছিল, সেই নথিপত্রও কেএমডিএর কাছ চাওয়া হয়েছে। সবকিছু খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে। লাইসেন্স ফি’ও বাড়তে পারে ক্লাবগুলির। - নিজস্ব চিত্র