• ‘সন্তান না হওয়ায় দিনের পর দিন চরম অত্যাচার’, ডোমজুড়ে উদ্ধার বধূর ঝুলন্ত দেহ, ধৃত স্বামী
    বর্তমান | ০৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: সন্তান না হওয়ার কারণে দিনের পর দিন ধরে তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সে কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন এক বধূ। সোমবার রাতে শ্বশুরবাড়িতে এক মহিলার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের পর এই অভিযোগ তুলেছেন মৃতার পরিবারের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে ডোমজুড়ের খটিরবাজার এলাকায়। মৃতার নাম সুমা ঘোষ (৩৩)। তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী জয়ন্ত ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছে ডোমজুড় থানার পুলিস। 


    জগাছা থানার উনসানি গড়পা এলাকার বাসিন্দা সুমার সঙ্গে ২০১৫ সালে ডোমজুড়ের বাসিন্দা জয়ন্ত ঘোষের সম্বন্ধ করে বিয়ে হয়। জয়ন্ত হাওড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মী। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন কারণে সুমার উপর অত্যাচার চালাতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। স্বামী জয়ন্ত ছাড়াও শ্বশুর, শাশুড়ির বিরুদ্ধেও নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন মৃতার পরিবারে লোকেরা। প্রায় দশ বছরের বিবাহিত জীবনে সন্তান না হওয়ায় তাঁর উপর অত্যাচারের পরিমাণ বেড়ে যায়।


    মৃতার পরিবার জানিয়েছে, ২০২৩ সালে সুমা গর্ভবতী হয়েছিলেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির ক্রমাগত অত্যাচারের কারণে গর্ভাবস্থাতেই সন্তান নষ্ট হয়ে যায় তাঁর। মৃতার ভাই সঞ্জয় বসু বলেন, গত সোমবার রাত ন’টা নাগাদ জামাইবাবু আমাকে ফোন করে জানান যে, দিদি ভীষণ অসুস্থ। তড়িঘড়ি ওর শ্বশুরবাড়িতে ছুটে যাই। কিন্তু দিদির ঘর ভিতর থেকে বন্ধ অবস্থায় ছিল। দরজা ভেঙে দিদিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই।


    ওই বধূর এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় সরাসরি শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছে তাঁর পরিবার। মঙ্গলবার সকালে ডোমজুড় থানায় মৃতার পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, খুনে প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে বধূর স্বামী জয়ন্ত ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্তকে এদিন হাওড়া জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক ছয় দিনের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ দেন। যদিও বধূর শ্বশুরবাড়ির পাল্টা দাবি, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন সুমা। সে কারণেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন।
  • Link to this news (বর্তমান)