• কর্মশ্রী প্রকল্পের আওতায় পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবার
    এই সময় | ০৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, কোচবিহার: রাজ্য সরকারের কর্মশ্রী প্রকল্পের অধীনে পরিযায়ী শ্রমিকদের আরও বেশি করে কাজ দিতে হবে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি–সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে যে সমস্ত মানুষ ভিন রাজ্যে কাজ করছেন, তাঁদের পরিবারের সদস্যদের কর্মশ্রীর আওতায় আনতে হবে। সোমবার রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দপ্তর থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই নির্দেশ দেওয়া হয় সমস্ত জেলাকে।

    সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানে এইঅভিযোগ পৌঁছয় যে, দিনহাটায় পরিযায়ী শ্রমিকদের কাগজপত্র দেখার নামে হেনস্তা করছে দিল্লি পুলিশ। মনে করা হচ্ছে, সেই ঘটনার পরে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে আরও বেশি সতর্ক হচ্ছে রাজ্য সরকার। জেলা প্রশাসনের কর্মশ্রী প্রকল্পের নোডাল অফিসার মামুন আক্তার জানিয়েছেন, যাঁদের জব কার্ড রয়েছে তাঁদের মধ্যে কতগুলি পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবার রয়েছে, তার ডেটা নেওয়া হবে। সেই তালিকা অনুযায়ী সরকারি নির্দেশ মেনে তাঁদের কাজ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

    শ্রম দপ্তরের হিসাব অনুযায়ী এই মুহূর্তে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি জেলা মিলিয়ে আড়াই লক্ষ নথিভুক্ত পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। এরা দিল্লি, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, কেরালা–সহ ভিন রাজ্যে কাজ করেন। তবে বেসরকারি হিসাবে সেই সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি। এই পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারগুলির মধ্যে যাঁরা নিজেদের গ্রামেই রয়েছেন, তাঁদের আরও বেশি করে কর্মশ্রীর আওতায় আনার কথা বলা হয়েছে।

    এ ক্ষেত্রে নির্দেশ রয়েছে, বর্তমানে আবাস যোজনায় প্রচুর ঘর তৈরি হচ্ছে। সেখানে এদের কাজ দিতে হবে। তা ছাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লক এবং জেলা পরিষদের অধীনে থাকা যে সমস্ত ঠিকাদার রয়েছে, বিভিন্ন প্রকল্পে তাদেরও কাজ দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। বিডিও এবং জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ পুরো বিষয় দেখভাল করবে। পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের তালিকা, যারা জেলায় রয়েছে, গ্রাম সংসদ থেকে সেই তালিকাও তুলে আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    উল্লেখ্য, কেন্দ্রের একশো দিনের কাজ এই রাজ্যে বহুদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তার বিকল্প হিসেবে রাজ্য সরকার কর্মশ্রী প্রকল্প চালু করে। প্রধানত যাঁদের একশো দিনের কাজের জব কার্ড রয়েছে, তাঁরা কাজ পাচ্ছেন।

    রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর নির্দেশে বলেছে, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে যেমন পূর্ত থেকে জেলা পরিষদ, সংখ্যালঘু, সেচ, বিভিন্ন উন্নয়ন দপ্তর, সব জায়গাতেই অদক্ষ শ্রমিক হিসেবে এদের কাজ দিতে হবে। কোচবিহারে চলতি ২০২৪-২৫ আর্থিক বর্ষে ২২টি দপ্তর থেকে ৭২ হাজার জব কার্ডধারীকে কাজ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা গড়ে ৫৮ দিন করে কাজ করেছেন।

  • Link to this news (এই সময়)