• শিশুকে বাঁচাতে ৮০ হাজারের ইঞ্জেকশন কিনে দিল রোগী কল্যাণ সমিতি
    এই সময় | ০৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, শিলিগুড়ি: বিরল রোগে আক্রান্ত চার বছরের শিশুকে দামি ইঞ্জেকশনের ব্যবস্থা করে প্রাণ রক্ষা করল শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতি। দিনকয়েক আগে শিশুটি হাসপাতালে আসে। গায়ে জ্বর, তার সঙ্গে লালচে চোখ, জিভের রঙ স্ট্রবেরির মতো। চিকিৎসকেরা শিশুটিকে দেখেই বুঝতে পারেন যে, সে বিরল ‘কাওয়াসাকি’ রোগে আক্রান্ত। এই রোগের একটাই ওষুধ ইন্ট্রাভেনাস ইমিউনোগ্লোবিউলিন ইঞ্জেকশন, সঙ্গে অ্যাসপিরিন।

    অ্যাসপিরিন বাজারে সহজলভ্য হলেও ইঞ্জেকশনের দাম প্রায় ৮০ হাজার টাকা। ঘটনাটি জানার পরেই এগিয়ে আসেন শিলিগুড়ি পুর নিগমের মেয়র গৌতম দেব। তিনিই শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। তাঁর নির্দেশে রোগী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে দ্রুত শিশুটির ইঞ্জেকশনের ব্যবস্থা করা হয়।

    এ দিন রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকের পরে গৌতম বলেন, ‘রোগী কল্যাণ সমিতির মূল লক্ষ্যই তো রোগীদের কল্যাণ করা। শিশুটির অসুখের কথা জানার পরে চুপ করে বসে থাকি কী করে!’ ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরে শিশুটি সুস্থ রয়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।'

    রাজ্যের অন্যতম ব্যস্ত হাসপাতাল শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল। প্রতিদিন গড়ে প্রায় দু’হাজার থেকে বাইশশোর মতো রোগী আউটডোরে ভিড় করেন। অন্তর্বিভাগও রোগীদের ভিড়ে ঠাসা। এই হাসাপাতালে রয়েছে ই-পোর্টালের সুবিধা। হাসপাতালের চাইল্ড কেয়ার ইউনিটও ঢেলে সাজানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। পাশাপাশি, হাসপাতালের পিছনে মাদার অ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার হার তৈরি হবে। এই ব্যাপারে পূর্ত দপ্তরের পক্ষ থেকে নকশা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।

    তার পরে রাজ্য সরকারের অনুমোদন নিয়ে কাজে নামা হবে। মেয়র বলেন, ‘চাইল্ড কেয়ার ইউনিটে গরমকালে ভীষণ গরম। শীতকালে ভীষণ শীত। এটাকে অল ওয়েদার ইউনিট হিসাবে গড়ে তোলার জন্য পূর্ত দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ হাসপাতালে পানীয় জল সরবরাহের একটি পাম্প বিকল হওয়ায় দ্রুত জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তরের ইঞ্জিনিয়রদের মেরামতির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

  • Link to this news (এই সময়)