মালদার নিহত তৃণমূল কাউন্সিলার দুলাল সরকার ওরফে বাবলা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হলো দলের টাউন সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে জনৈক স্বপন শর্মাকেও। এই নিয়ে ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ধৃতের সংখ্যা দাঁড়াল সাত। ধৃত দু’জনকে বুধবারই মালদা জেলা আদালতে তোলা হয়। আদালতে যাওয়ার পথে নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ওরফে নন্দু চিৎকার করে বলেন, ‘বড় মাথা আমাদের দু’জনকে ফাঁসিয়েছে।’
তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও তাঁর দুই ভাই বীরেন্দ্রনাথ ও অখিলেশকে ইংরেজবাজার থানায় মঙ্গলবার বেলা ১২টা থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। ২২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয় তৃণমূলের টাউন সভাপতিকে।
নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি একটা সময়ে ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলারও ছিলেন। রাজনৈতিক সম্পর্কের বাইরেও বাবলা সরকারের সঙ্গে তাঁর গভীর বন্ধুত্ব ছিল। ২০২২ সালে পুরসভা ভোটে নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল টিকিট দেয়নি। তাঁর জায়গায় বাবলা সরকার ওই ওয়ার্ড থেকে ভোটে লড়েন এবং জয়ীও হন।
সেই থেকেই নন্দু ওরফে নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং বাবলা সরকারের সমর্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল বলে খবর। বাবলা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং তাঁর ভাইকে মারধর করার অভিযোগও উঠেছিল। পুরোনো সেই শত্রুতার সঙ্গে বাবলা সরকার খুনের যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সূত্র ধরেই অভিযুক্ত নরেন্দ্রনাথ তেওয়ারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
তৃণমূল কাউন্সিলার বাবলা সরকারের খুনের ঘটনায় এখনও পলাতক দু’জন। তাঁদের সন্ধানে পুলিশ ইতিমধ্যেই পুরস্কার ঘোষণা করেছে। তবে এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় পুলিশ। নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিই ষড়যন্ত্রকারী কি না, তা খতিয়ে দেখতে তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালাবে পুলিশ।