এই সময়: বাংলা-অসম এবং ত্রিপরায় অভিযান চালিয়ে গত এক মাসে এক ডজনেরও বেশি লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশের। বাকিরা এ পারের বাসিন্দা হলেও, মগজ ধোলাই থেকে শুরু করে সবেতেই বাংলাদেশি জঙ্গিযোগের প্রমাণ মিলেছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের। এমন এক পরিস্থিতিতে গঙ্গাসাগর মেলা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সেই মেলায় দেশ-বিদেশের লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী আসেন এই সাগরদ্বীপে।
এই প্রেক্ষাপটে যাতে কোনও ভাবে বাংলাদেশ থেকে কেউ বেআইনি ভাবে এ পারে ঢুকতে না পারে, তার জন্য মঙ্গলবার সব পক্ষকে সজাগ হওয়ার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাইরে থেকে কেউ ঢুকে যাতে মেলায় কোনও রকম অশান্তি পাকাতে না পারে, সেই দিকেও বাড়তি নজর দেওয়ার জন্য পুলিশ–প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর নির্দেশ, ‘জল-স্থল-আকাশ, সর্বত্রই খেয়াল রাখতে হবে।’ সরাসরি নাম না করলেও ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, পড়শি বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির প্রেক্ষিতেই এ দিন সতর্ক করেছেন মমতা।
মঙ্গলবার গঙ্গাসাগরে প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সভার সিংহভাগ জুড়েই ছিল গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি। মেলার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেখে নিতে হবে, কেউ যেন কোনও রকম ক্ষতি করতে না পারে। আমি কোস্ট গার্ড, নেভিকে বলেছি, যাতে ও দিক থেকে এ দিকে কোনও অসুবিধা না হয়। জলেও খেয়াল রাখতে হবে। জল, স্থল, আকাশ সবটাই খেয়াল রাখতে হবে।’
প্রশাসনের কর্তাদের একাংশের ব্যখ্যা, ও দিক থেকে বলতে মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশকেই বুঝিয়েছেন। সুন্দরবন এমনিতেই বাংলাদেশ ঘেঁষা। ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়ের সুযোগ নিয়ে কেউ যদি কোনও চক্রান্ত করে, সেই আশঙ্কাতেই বাড়তি সতর্কতার বার্তা দিয়েছেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেন, ‘গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে যেন কোনও নেগেটিভ ন্যারেটিভ তৈরি না হয়, তা দেখতে হবে সবাইকে। কোনও সমস্যা হলে প্রশাসনকে জানান। সমাধান হবে। কিন্তু বদনাম করবেন না।’