• পুরসভার সরবরাহ করা পানীয় জলে রঙিন মাছের রমরমা চাষ
    এই সময় | ০৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, চুঁচুড়া: সরকারের সরবরাহ করা পানীয় জলের লাইনে বেআইনি সংযোগ বা জল চুরি নিয়ে প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর অন্য কয়েকটি জেলার মতো হুগলিরও একাধিক এলাকায় জল চুরি নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    এই অবস্থায় পানীয় জলের অপব্যবহার করে সেই জলে রঙিন মাছ চাষের অভিযোগ উঠতেই মঙ্গলবার হুগলি–চুঁচুড়া পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাপাসডাঙা নিউ জিএস কলোনিতে হাজির হন পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ দিব্যেন্দু অধিকারী ও স্থানীয় কাউন্সিলার নির্মল চক্রবর্তী। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের কর্মীরাও।

    পুরসভার প্রতিনিধিদল গিয়ে দেখে, কাপাসডাঙার রতন বিশ্বাস বাড়িতে ১৬টি বড় চৌবাচ্চা বানিয়ে সেখানে রঙিন মাছের চাষ করছেন। পুরসভার সরবরাহ করা পরিস্রুত পানীয় জলের এই বেআইনি ব্যবহার দেখে তাঁদের চক্ষু চড়কগাছ। বিনামূল্যে পাওয়া জল বাণিজ্যিক কাজে লাগানো হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি বলে পুরপ্রধান পারিষদ দিব্যেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন। অভিযুক্ত রতন বিশ্বাসের পাল্টা বক্তব্য, তিনি পুরসভা থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েই ওই ব্যবসা করছেন। যদিও তাঁর ওই দাবি পুরসভা খারিজ করেছে।

    কাপাসডাঙার ওই জায়গায় গিয়ে পুরসভার প্রতিনিধিরা প্রমাণ পান যে, একটি বাড়ির জন্য নেওয়া জলের লাইন ব্যবহার করা হচ্ছে পাশের বাড়িতেও। অথচ স্থানীয় অন্য বাসিন্দারা জল পাচ্ছেন না। এলাকার লোকজন অভিযোগ জানান বিধায়ক অসিত মজুমদারের কাছে। জনসংযোগ কর্মসূচিতে গিয়ে বিধায়কের পায়ে চিড় ধরায় তিনি এখন বাড়িতে। তিনি স্থানীয় কাউন্সিলার ও পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগকে বিষয়টি দেখতে বলেন। সেই মতো এ দিন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাপাসডাঙায় যান হুগলি–চুঁচুড়া পুরসভার প্রতিনিধিরা।

    পুরসভার এক কর্তা এ দিন বলেন, ‘পুরসভার সরবরাহ করা জলকে বাণিজ্যিক কাজে লাগানো রতন বিশ্বাসকে অবিলম্বে পুরসভায় গিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছে। তাঁর বাড়ির চৌবাচ্চাগুলোয় প্রচুর মাছ। তাদের কথা ভেবে আমরা এখনই জল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করলাম না। তবে এটা তো চলতে পারে না। পুরো ব্যাপারটাই বেআইনি।’

  • Link to this news (এই সময়)