• দুলাল সরকার খুনে গ্রেপ্তার তৃণমূল শহর সভাপতি, ধৃতের সংখ্যা বেড়ে সাত, ঘটনাস্থলে ফরেন্সিক দল
    আজকাল | ০৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: মালদহের তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার ওরফে বাবলা খুনে গ্রেপ্তার তৃণমূলের শহর সভাপতি। মঙ্গলবার সকাল থেকে টানা জেরার করার পরে নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছ শহরেরই বাসিন্দা স্বপন শর্মাকেও। তৃণমূল কাউন্সিলর খুনে এখনও পর্যন্ত মোট সাতজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। তবে খুনের কারণ স্পষ্ট নয় এখনও। মঙ্গলবার চার সদস্যের ফরেন্সিক দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নমুনা সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। 

    তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় ইংরেজবাজার শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা হিন্দি সেলের মালদহ জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। তলব করা হয় তাঁর দুই ভাই বীরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং অখিলেশ তিওয়ারিকেও। ইংরেজবাজার থানায় এ দিন দুপুর থেকেই তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন জেলা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদের পর উত্তরে সন্তুষ্ট না হওয়ায় গ্রেপ্তার করা হয় নরেন্দ্রনাথকে। তাঁর দুই ভাইকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এই বিষয়ে বীরেন্দ্রনাথ বলেন, ''এই ঘটনায় আমাদের বাড়ির কেউ জড়িত নেই। আমাদের ফাঁসানো হচ্ছে। তবে পুলিশকে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করছি।'' 

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে পুরসভা নির্বাচনে নরেন্দ্রনাথ ও দুলালের গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক গন্ডগোল হয়েছিল। দুলালের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নরেন্দ্রনাথ ও তাঁর ভাইকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল। পুলিশের অনুমান সেই সূত্রেই কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে তাঁরা। 

    গত ২ জানুয়ারি প্রকাশ্য দিবালোকে মালদা জেলা তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি তথা ইংরেজবাজার পৌরসভার পাঁচবারের কাউন্সিলর দুলালকে এলোপাথাড়ি গুলি করে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। তড়িঘড়ি মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা দুলালকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। এর পর পুলিশ তদন্ত নেমে তিনজনকে গ্রেফতার করে যার মধ্যে দু'জন বিহারের বাসিন্দা। তারপর গ্রেপ্তার করা হয় আরও দু'জনকে। মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হল তৃণমূল নেতা-সহ আরও একজনকে। 
  • Link to this news (আজকাল)