পার্থ চৌধুরী: মহারাষ্ট্র থেকে ফোন এল সর্বত্যাগী সাধুর মোবাইল ফোনে। প্রচুর হম্বিতম্বি। আতঙ্কে দিশেহারা বর্ধমানের তিব্বতি বাবার আশ্রমের আশ্রমিক অশোক চক্রবর্তী। যে কাহিনী অশোক চক্রবর্তী শুনিয়েছেন তা বেশ চাঞ্চল্যকর।
তিব্বতি বাবার আশ্রমটি বর্ধমান শহরের বেশ খানিকটা দূরে পালিতপুর গ্রামে। আশ্রমটি বহু পুরনো। আশ্রমের বেশ কিছু জমি ও সম্পত্তি আছে। বর্তমানে আশ্রমে থাকেন অশোক চক্রবর্তী। সাত্বিক এবং জ্ঞানী মানুষ হিসেবে তিনি পরিচিত।
মঙ্গলবার সকালে মহারাষ্ট্রের একটি অচেনা নম্বর থেকে একটি ফোন কল আছে তাঁর মোবাইলে। এরপরই ফাঁদ পাতে প্রতারক। সম্ভাব্য ঠগ তাকে যা বলে তাতে সাধুর চক্ষু চড়কগাছ।
সাধুর জবানীতেই শোনা যাক সেই ঘটনাক্রম।
" আমার কাছে একটি ফোন আসে। আমাকে বলা হয়, আমার নামে অনেকগুলি মামলা আছে। এক আধটি নয়, সতেরোটি মামলা। সেগুলি সবই মহারাষ্ট্রের তিলকনগর থানায়। কিছুক্ষণ পর আবার ফোন। বলা হয় আপনার ফোন আর চলবে না। আমরা ফোন কোম্পানি থেকে কল করছি। এরপর বলা হয়,আপনাকে একটি সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আপনাকে ভিডিও কল করা যেতে পারে?
আমি জানিয়ে দিই, হ্যাঁ,নিশ্চয়ই।
এরপর জানান হয়, আপনি কলে নিজেকেও দেখতে পাবেন। ভিডিয়ো কলে দেখা যায়, পুলিসের পোশাক পরে একজন বসে আছেন।
তিনি আমায় নানা প্রশ্নবাণে জর্জরিত করেন। আপনার আয়ের উৎস কী, চলে কী করে?
আমি বলি, আমি ভিক্ষেও করি না। আমার কোনো সম্পত্তি নেই। যারা আসে তারা যা দেয় তাতেই আমার চলে।
এভাবেই আমি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করি।
সাধু অশোক চক্রবর্তী আরও জানান জানান, তিনি সেই মুহূর্তে অত্যন্ত ভীত হয়ে পড়েন। যদিও তার হারাবার কিছু নেই। পরিস্থিতি এমনই ছিল যে গোটা প্রক্রিয়াটিকে আমি ফ্রড কল কী না ভাবার ফুরসতও পাইনি।