এই সময়, নন্দীগ্রাম: জোড়া শহিদ–স্মরণ অনুষ্ঠান ঘিরে রাজনীতির পারদ চড়ল ভোরের নন্দীগ্রামে। মঙ্গলবার শহিদ তর্পণে রাজনীতিটাই মুখ্য হয়ে উঠল।
২০০৭–এর ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনে প্রথম শহিদ হন ভরত মণ্ডল, বিশ্বজিৎ মাইতি ও শেখ সেলিম। এর পরে ১৮ বছর কেটে গিয়েছে। এখনও প্রতি বছর এই দিনটায় ভাঙাবেড়ার শহিদ বেদির সামনে ভিড় জমে। প্রথমে শুভেন্দু অধিকারীর উদ্যোগে একটিই অনুষ্ঠানের আয়োজন হতো।
কিন্তু তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর রাজনৈতিক বিভাজনরেখা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে শহিদ–স্মরণ অনুষ্ঠানে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হলো না। মঙ্গলবার ভোর চারটে নাগাদ নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়াতে তৃণমূল প্রভাবিত ভূমিউচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অখিল গিরি, শেখ সুফিয়ান, আবু তাহের, জয়া দত্তরা।
সভায় সাম্প্রদায়িকতা ছড়ানোর জন্যে নাম না–করে শুভেন্দু অধিকারীর দিকে অভিযোগের আঙুল তোলা হয়। জমি আন্দোলনের অন্যতম নেতা তৃণমূলের শেখ সুফিয়ান বলেন, ‘যারা আন্দোলনকারীদের খুন করেছে, তাদের নিয়েই আজ শুভেন্দু অধিকারী শহিদ বেদিতে মালা দিয়েছেন। নন্দীগ্রামের মানুষ এসব মেনে নেবে না।’
পরে সকাল সাতটায় শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে স্মরণসভা হয়। তিনি বলেন, ‘নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলনে সিপিএম ছাড়া সব রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল। তাই সবার শহিদ–স্মরণ অনুষ্ঠান আয়োজনের অধিকার রয়েছে। সকালের সভা থেকে একজন আমাকে গালাগালি করেছে। আমি যার দিকে তাকিয়েছি, তার কী হাল হয়েছে, দেখেছেন তো?’
উত্তরে সুফিয়ান বলেন, ‘২৬–এ শুভেন্দু অধিকারীকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। সন্ন্যাস নিয়ে চলে যাবে।’