এই সময়, কোচবিহার: সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দিনহাটা পুরসভার দায়িত্ব নিলেন অপর্ণা দে নন্দী। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে আরও দুই দাবিদারকে টপকে প্রথম মহিলা চেয়ারপার্সন হিসেবে দিনহাটায় বসানো হলো তাঁকে। মঙ্গলবার তিনি শপথ গ্রহণ করেন। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান মহকুমা শাসক বিধুশেখর। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহর উপস্থিতিতে দায়িত্ব বুঝে নেন অপর্ণা।
সূত্রের খবর, ভাইস চেয়ারম্যান সাবির সাহা চৌধুরী এবং প্রবীণ তৃণমূল কাউন্সিলর পার্থনাথ সরকারের নাম চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে ছিল। কিন্তু দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এড়াতে ও স্বচ্ছ ভাবমূর্তির জন্য ১০ নম্বর ওয়ার্ডের এই কাউন্সিলারকেই বেছে নিল শাসক দল। দায়িত্ব গ্রহণের পর নয়া চেয়ারপার্সন বলেন, ‘সবাই মিলে এই পুরসভাকে সুন্দরভাবে গড়ে তুলব। সকলকে সঙ্গে নিয়ে দায়িত্ব পালন করব।’
গত ৩০ ডিসেম্বর দিনহাটা পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরীশংকর মাহেশ্বরী ইস্তফা দেন। সম্প্রতি পুরসভার বিল্ডিং প্ল্যান পাস করা নিয়ে দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসে। অনলাইনের বদলে অফলাইনে টাকার বিনিময়ে বিল্ডিং প্ল্যান পাস করানোর অভিযোগ ওঠে। পাশাপাশি বেশ কিছু বিল্ডিং প্ল্যান ভুয়ো বলেও অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করে পুর কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় তোলপাড় হয় দিনহাটা শহর।
পুলিশি তদন্তে নেমে তিন পুরকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। এর নৈতিক দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করেন গৌরীশংকর। চেয়ারম্যানের পদত্যাগের পর ভাইস চেয়ারম্যান সাবির অস্থায়ীভাবে দায়িত্বে ছিলেন। তাই তাঁর নাম সম্ভাব্য চেয়ারম্যানের তালিকায় ছিল।
পাশাপাশি প্রবীণ কাউন্সিলার পার্থনাথ সরকার চেয়ারম্যান হতে পারেন বলেও জল্পনা তৈরি হয়। তবে শেষ পর্যন্ত অপর্ণার ভাগ্যেই শিঁকে ছিড়ল। কাউন্সিলারের পাশাপাশি তিনি তৃণমূলের দিনহাটা শহর ব্লকের সভানেত্রীও। ২০২২ সালে দিনহাটা পুর বোর্ড গঠনের সময়ও চেয়ারম্যানের দৌড়ে অপর্ণা দে নন্দীর নাম শোনা গিয়েছিল।
যদিও গৌরীশংকরকেই চেয়ারম্যান করা হয়। সোমবার রাতেই কলকাতা থেকে কোচবিহারের তৃণমূল নেতাদের ফোন করে নয়া চেয়ারম্যানের নাম জানিয়ে দেওয়া হয়। দিনহাটা পুরসভায় ১৬ জন কাউন্সিলার রয়েছেন। তাঁরা সবাই তৃণমূলের।