মালদার কাউন্সিলার দুলাল সরকার ওরফে বাবলাকে খুনের মূল চক্রী তৃণমূলের শহর সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও স্বপন শর্মা। ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সুপারি কিলার দিয়ে তাঁকে খুন করা হয়েছে। যদিও, খুনের মোটিভ এখনও নিশ্চিত নয়, এমনটাই জানাল রাজ্য পুলিশ। এই ঘটনায় এখনও দু’জন পলাতক রয়েছে, তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। বুধবার রাজ্য পুলিশের এডিজি (দক্ষিণবঙ্গ) সুপ্রতিম সরকার সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই জানিয়েছেন।
ঘটনার দেড় ঘণ্টার মধ্যে শামি আখতার এবং টিঙ্কু বোস নামে মানিকচক থেকে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কাউন্সিলারকে হত্যা করতে যে চারজন বাইকে করে এসেছিলেন, তাঁর মধ্যে এই দু’জন ছিলেন। সেই রাতেই কাটিহার থেকে মহম্মদ আব্দুল গনি বলে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র সরবরাহ করেছিলেন গনি। তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত অভিজিৎ ঘোষ ও অমিত রজক নামে দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনাস্থলে রেইকি করা, খুনে ব্যবহৃত বাইককে লুকিয়ে ফেলা-সহ গোটা কর্মকাণ্ডে একাধিক কাজে সহায়তা করে এই দু’জন। এই পাঁচ জনকে পুলিশি হেপাজতে রেখে জিজ্ঞাসা করার পরেই নরেন্দ্রনাথ ও স্বপনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশের দাবি, স্বপন কুখ্যাত দুষ্কৃতী। এর বিরুদ্ধে এলাকায় বোমাবাজি, দুষ্কৃতী হামলা-সহ একাধিক অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ রয়েছে। স্বপন ও নরেন্দ্রনাথ মিলে ৫০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে সুপারি কিলার ভাড়া করে। বাইকে যে চার জন ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ড্রাইভার আসরাফ এবং কৃষ্ণ রজক এখনও পলাতক। তাঁদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২ জানুয়ারি সকালে মালদার ইংরেজবাজার শহরে নিজের কারখানার কাছে খুন হন তৃণমূল কাউন্সিলর দুলালচন্দ্র সরকার। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায় তিন দুষ্কৃতী। তাঁর খুনের নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন কাউন্সিলারের স্ত্রী চৈতালি সরকার। যদিও, দুলাল খুনে মোটিভ ঠিক কী? তদন্তের স্বার্থে তা এখনই পরিষ্কার করতে নারাজ পুলিশ।
তথ্য সহায়তা: অর্পিতা হাজরা