• কেন ‘শুভনন্দন’ বলেন মমতা, নিজেই জানালেন সে কথা
    এই সময় | ০৮ জানুয়ারি ২০২৫
  • ২০২৩ সালের বাংলা নববর্ষ। প্রত্যেককে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রথম বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা গিয়েছিল ‘শুভনন্দন’ শব্দটি। এর পর গত দু’ বছরে বহুবার মুখ্যমন্ত্রী এই শব্দের ব্যবহার করেছেন। এর পর সরকারি নানা অনুষ্ঠানের ব্যানারেও এই শব্দের ব্যবহার দেখা গিয়েছে। বুধবার ধনধান্য স্টেডিয়ামে এক অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, কেন তিনি এই শব্দের ব্যবহার করেন।

    ২০২৩-এর এপ্রিলে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় এক অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই প্রথম বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আপনাদের সকলকে শুভ নব বৈশাখের শুভনন্দন জানাচ্ছি। আমরা অভিনন্দন শব্দের ব্যবহার করি। আমি আজ থেকে শুরু করলাম শুভনন্দন।’

    জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহজুড়ে রাজ্য সরকার ‘স্টুডেন্টস উইক পালন’ করে। বুধবার তারই সমাপ্তি অনুষ্ঠান ছিল ধনধান্য স্টেডিয়ামে। সেখানে বক্তব্য রাখতে উঠে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ সমাপ্তির বদলে ‘সমাপনী’ শব্দের ব্যবহার করেন।

    এর পর মমতা বক্তব্য রাখতে উঠে বলেন, ‘মুখ্যসচিব সমাপনী অনুষ্ঠান বললেন। এটা একটা নতুন শব্দ, কানে এসেছে। আমিও বললাম শুভনন্দন। অভিনন্দনের জায়গা আমি শুভনন্দন বললাম। শুভনন্দন বলাই যায়। অসুবিধার কিছু নেই। ভাষার তো অনেক বিস্তার আছে।’

    এর আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর বক্তব্যে প্রশ্ন তুলেছিলেন, যদি অভিনন্দন বলা যায়, শুভনন্দন বলতে বাধা কোথায়? শুভনন্দনে শুভেচ্ছা ও নন্দন দুই-ই আছে। এ বার তিনি জানালেন, বাংলা ভাষার বিস্তার নিয়ে। আর এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে, বাঙালি ও বাংলা ভাষার বিশ্বখ্যাতির কথাও তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী। বাংলা যে নবজাগরণের স্রষ্টা, মেধা-কৃষ্টির আঁতুরঘর, সে কথাও তুলে ধরেন তিনি।

    এ দিন একেবারে অন্য মুডে দেখা গিয়েছে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে। নিজের জন্মদিন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মমতাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি মনে করি আমি এখনও জন্মাইনি। আমার একটা কবিতা আছে— জন্ম হবে সে দিন, এই পৃথিবী থেকে বিদায় নেব যে দিন।’

    স্কুলের পড়ুয়ারা উপস্থিত ছিল এ দিনের অনুষ্ঠানে। ছিলেন শিক্ষক শিক্ষিকারাও। মমতার পরামর্শ, জীবন ক্ষণস্থায়ী, মানুষের কর্মই চিরস্থায়ী। সকলকে নিয়ে চলতে হবে। সব সময়ে মাথায় রাখতে হবে, জীবনে হতাশার কোনও স্থান নেই, শেখার কোনও বয়স নেই।

  • Link to this news (এই সময়)